“কন্যা রাশির যুবক” উপন্যাসটি যখন লেখি, তখন আমার কাছে মনে হচ্ছিল আমি শুধু একজন লেখক নই, ইতোমধ্যে আমি ডিরেক্টর হয়ে গেছি। মনে হচ্ছে আমি এই গল্প দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেছি। সেই রকম সুপারহিট কাহিনীতে একটি চলচ্চিত্র হচ্ছে। “এফডিসিতে শুটিং চলছে। কিছু দর্শক ভিড় জমিয়ে শুটিং দেখছে। ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি। এক নায়কের সাথে শাড়ি পরা, বধূ বেশে তিন নায়িকা উপস্থিত।” গল্পটি লেখার সময় আমার মাঝে এমন একটি অসামান্য কল্পনাশক্তি কাজ করেছে। কিন্তু না, দিন শেষে আমি শুধু একজন লেখকই, ডিরেক্টর না। যাই হোক, এই উপন্যাসে সুদর্শন,স্মার্ট যুবকের নাম অনিক। অনিকের একটি সৌখিন জীবন দেখানো হয়েছে পাঠককে । অথচ সৌখিন জীবনেও কখনো কখনো দুঃখ থাকে। লুকানো দুঃখ। যে দুঃখ কাউকে দেখানো যায় না কিংবা কাউকে বলাও যায় না। আমাদের সমাজে কত মানুষের কত রকম যে দুঃখ রয়েছে। কিন্তু কারো দুঃখের ভাগ কেউ নেয় না কিংবা নিতে আসে না। জীবনের ধাপে ধাপে, জীবনযুদ্ধে নিজেই লড়াই করে শান্তিপূর্ণ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। জীবন কারো অবহেলার পাত্র নয়। জীবন সুখ চায়, শান্তি চায়। জীবন চায় জীবনের সফলতা। তবে অনিকের জীবনে যে বিধি কিচ্ছা, সেটা তেমন ভয়ংকর কিছু নয়। তিন মায়াবতীকে কেন্দ্র করেই অনিকের এই দুঃখ। তিনটি বিয়ে কেন করল অনিক? এই তিন বিবাহের পেছনে রহস্য কি? পাঠককে বলতে চাই, উপন্যাসে রহস্য না থাকলে বই পড়তে আপনার একদম ইচ্ছে করবে না। মানুষের জীবনটাই একটা রহস্য। এ জন্যই মানুষ রহস্যের দিকে খুব বেশী ঝুঁকে যান। প্রত্যেক মানুষই জানতে চায় রহস্য কেমন কিংবা রহস্য কত প্রকার? প্রত্যেক উপন্যাসেই লেখক একটু না একটু রহস্য রাখার চেষ্টা করে। আমার এই উপন্যাসের রহস্য তিন মায়াবতী। তিন মায়াবতী এক সংসারে। একজনই তাদের স্বামী। রহস্য কী?