এই বই অতি সাধারণ উপাদান দিয়ে নান্দনিক জীবন তৈরীর বই। দৈনন্দিক জীবনে নান্দনিকতা, প্রশান্তির মূল উৎস খোঁজার বই। রুচি কাকে বলে, একটা জিনিস কেন রুচিশীল হয়, কীভাবে হয় সেটা আছে এই বইতে। সৌন্দর্য সৃষ্টি, নিজের চারপাশে সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেয়ার পিছনে যে দর্শন আছে সেটাই ব্যাখ্যা করা হয়েছে এতে। ওয়াবি সাবি একটা জাপানি দর্শন। জাপানে এক কালে এখনকার মত এত ঐশ্বর্য ছিলনা, ঐশ্বর্য নিজ হাতে অর্জন করে নিয়েছে এরা। কিন্তু এরা এত মারাত্মক রকম পরিশ্রমী হয়ে গেল কীভাবে? কোথা থেকে এত কাজ করার আর মেধা অর্জনের শক্তি আসে? যখন কিছুই ছিল না, তখন কোথা থেকে তাগিদ আসত, কোথা থেকে উৎসাহ আসত? আত্মহত্যার জন্য আমাদের কাছে জাপানের কুখ্যাতি আছে। কিন্তু দেশটা যে বছরের পর বছর সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষ দশে থাকে, সে খবর আমরা রাখিনা। কখনো ভেবে দেখেছেন জাপানি সব কিছু এত ডিটেইলে নজর দেয়া কেন? এত নিখুঁত কেন? অকল্পনীয় সব উদ্ভাবনের পাশাপাশি অবাক করা চমক থাকে এদের প্রত্যেকটা কাজে। শুধু প্রযুক্তির চমক দিয়ে এদেরকে বিচার করলে বিরাট একটা ভুল হবে। দৈনন্দিন জীবনে সব কলাকৌশল আর পদ্ধতি থাকে এদের। “Proof that Japan is living in the future” লিখে সার্চ করে দেখুন, অবাক হবেন। বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এখন জাপানের সেই মধ্যযুগের দুঃসহ পরিস্থিতি। আমরা কি জাপানিদের কোন কৌশল, জীবনপদ্ধতি কাজে লাগাতে পারি?