°° মনের ভেতর যে গল্প জমে থাকে, প্রতিদিন তা রঙ বদলায়, রক্ত ঝরায়- আনন্দবেদনায়। শব্দ ও বাক্যে কখনও কখনও আমরা তার কিছুমাত্র উগড়ে দিই, দীর্ঘশ্বাসের মতো ভারি হয়ে জমে থাকে বাকিটা- অতল, অতুল! আবৃত্তিশিল্পী মামুরা মমতাজ দীপাকে লোকে চেনেন বহু বছর। কিন্তু কবি হিসেবে এই প্রথম। আমার ধারণা, দীর্ঘদিন নিরবচ্ছিন্ন কবিতাপাঠ এবং আবৃত্তিই তার স্বরচিত কবিতার ছন্দ, শব্দ বুনন এবং বয়ানকে এতোটা পরিণত করছে। যেমন- 'মুগ্ধতা কেটে গেলে পড়ে থাকা ধুলোবালি, কাদা-কালি, নোংরা জলের ছটা, দুঃখের ঘনঘটা, ভালবেসেছো কখনও? প্রেমের কুয়াশা সরে গেলেও কি পড়ে থাকে কিছু?' এইরকম বর্ণায়িত ব্যঞ্জনার পংক্তি লেখা খুব সহজ নয়। কবিতার সাথে থাকতে থাকতে তার একটি সুরুচির মন, শোনার কান, অনুভবের শব্দভাণ্ডার তৈরি হচ্ছিলো। আজ সেগুলো যূথবদ্ধ হলো- এ এক পরম প্রাপ্তি। মামুরা মমতাজ দীপার কবিতায় জাগতিক জীবন, প্রেম- প্রতারণার সাথে যুগযন্ত্রণার স্বরটিও প্রকট। নারীমুক্তি, ধর্মের নামে অধর্ম, অপরাজনীতি এসব ভাবনাদৃশ্য শব্দে- বাক্যে তাকে একজন সচেতন মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করে। নিজের লেখাকে সলজ্জ গুটিয়ে রাখা দীপার প্রথম বইটি সকল জড়তা ভেঙে উজালা হয়ে উঠুক- এই প্রত্যাশা করি। ।। সেলিনা শেলী কবি এডমন্টন, কানাডা
মামুরা মমতাজ দীপা জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩, ঢাকা। পৈত্রিক নিবাস: চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি গ্রামে। মা: রোকেয়া সিদ্দিকী। বাবা: বি এ খান সিদ্দিকী। শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর সাত বোন, এক ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। শৈশব ছাড়া পুরোটা সময় চট্টগ্রামেই কাটানো। শিক্ষা জীবন শেষে অর্জন করেছেন বহুজাতিক বীমা প্রতিষ্ঠান, বিপণন সংস্থা, নির্মাণ সংস্থা ও উন্নয়ন সংস্থায় কাজের অভিজ্ঞতা। কৈশোর জীবন থেকে লেখালেখি শুরু। ভালোবাসেন আবৃত্তি। কাজও করছেন আবৃত্তি নিয়ে। যুক্ত আছেন প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সাথে। এটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ।