লবণ। পরিমাণ মত হওয়া চাই! কম হলে পানসে; বেশি হলে বিষ! জীবন, সম্পর্ক আর প্রেম ঠিক লবণের মতোই। ঠিকঠাক হওয়া চাই! কম বা বেশি হলেই স্বাদহীন হয়ে যায়; বিষময় হয়ে ওঠে। আমাদের লোকজ জীবনেও বিশ্বাসের প্রতীক লবণ। নুন খেলে গুণ গাইতে হয়- এটাই গ্রামীণ জনপদের দর্শন। যদিও জীবনের গতিধারা সবসময় চাওয়া পাওয়ার উপর নির্ভর করে না। আমাদের চাওয়ার সাথে বাস্তবতার ফারাক থাকে বিস্তর। জীবনের অনুষঙ্গ কখনো নিখুঁত বা শতভাগ ঠিকঠাক হয় না। কেননা জীবন তো আর গণিত নয়! জীবন সুনির্দিষ্ট কোন সূত্রে বাঁধা থাকে না! ব্যক্তির আশা-আকাঙ্ক্ষা, পছন্দ-অপছন্দ ছুটতে থাকে আপন ছন্দে, আপন গতিতে! একেক জনের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যেও আছে বৈচিত্র! একজনের নিজস্বতার সাথে আরেক জনের পছন্দ তারতম্য ঘটলেই জীবনের মানে পাল্টে যায়। জন্ম নেয় সংঘাত; ভিন্নরূপ! তবু কখনো ছন্দ মেলে, কখনো ঘটে ছন্দপতন। 'কর্ণী', 'লবণ', 'নম্বর ১৫' ছন্দময় ছন্দপতনের এ রকম তিনটি গল্প নিয়েই গল্পগ্রন্থ 'লবণ'। গল্পকার তিনটি গল্পে তিন ধরণের স্বাদ আস্বাদন করে একমলাটে আবদ্ধ করেছেন। অথচ তিনটি গল্পেই রূপকার্থে লবণের ভূমিকা অবিচ্ছেদ্য। প্রত্যাশা করি 'লবণ' পাঠে পাঠক জীবন, সম্পর্ক ও প্রেমের মৌলিক গল্প পাঠের স্বাদ পাবেন