১৯৩০ সাল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একজন গর্বিত সৈনিক মাইকেল ও’সুলিভান কাজ করছেন মাফিয়া ডন জন লুনির অধীনে। জন লুনি তাকে নিজের ছেলে হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কাজে নেয়ার সময় বলেছেন, তার মতো মহান সৈনিকের অস্ত্রকে কখনো দুর্বলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবেন না। সেভাবেই চলছিল। একদিন জন লুনির ছেলে কনর লুনি একজনকে গুলি করে হত্যা করার সময় দেখে ফেলে মাইকেল ও’সুলিভানের ১১ বছর বয়সী ছেলে মাইকেল ও’সুলিভান জুনিয়র। কনর তার বাবার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলে। ও’সুলিভান তাকে জানান, তার ছেলে এ বিষয়ে কাউকে কিছুই জানাবে না বলে তাকে কথা দিয়েছে। কিন্তু কনর তাতে স্বস্তি পায় না। একদিন ও’সুলিভান বাড়িতে না থাকা অবস্থায় কনর এসে তার স্ত্রী অ্যানি ও ভুল করে ছোট ছেলে পিটারকে গুলি খুন করে পালিয়ে যায়। মাইক তখন বাড়ি ছিল না। তবে সে মুহূর্তে বাড়ি আসে এবং মা ও ভাইয়ের হত্যাকারীকে পালিয়ে যেতে দেখে। ছেলের মুখে মাইকেল ও’সুলিভান একথা জানতে পেরে গড ফাদার লুনিকে জানান। লুনি তাকে সান্ত্বনা দেন, তবে হত্যাকারী নিজের ছেলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে অসম্মত হন। তিনি তার ধর্মপুত্রকে কিছু টাকা দিয়ে ঘটনাটার মিটমাট করে ফেলার পরামর্শ দেন। মাইকেল তাতে রাজি হতে পারেন না। কয়েকদিন পর লুনি ও’সুলিভানকে একটা চিঠি দিয়ে তার অধীনস্থ টনি ক্যালভিনো একজন গ্যাংস্টারের কাছে পাঠান। খামবদ্ধ চিঠিতে তিনি বাহককে খুন করার নির্দেশ দেন। ও’সুলিভান চিঠি নিয়ে যান। কিন্তু চিঠি পড়ে ক্যালভিনোর ভাবান্তর টের পেতেই তাকে গুলি করেন। চিঠিটি নিয়ে দেখতে পান, তাকে খুন করার নির্দেশ। গডফাদারের অবিশ্বস্ততা ও ষড়যন্ত্রে খেপে ওঠেন তিনি। এর পর শুরু হয়, ও’সুলিভান ওরফে মৃত্যুদূত—এর প্রতিশোধ নেয়ার পালা। ১১ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে নেমে পড়েন ধ্বংসযাত্রায়।