কাহিনী সংক্ষেপ- ইউসুফ নগর গ্রামে এক রহস্যময়, কামেল ব্যক্তি আছে। লোকটার না কি ভয়ংকর সব আধ্যাত্মিক ক্ষমতা রয়েছে। এলাকার সবাই সেই বৃদ্ধকে কানা শিয়াল নামে চেনে। দেশের যেকোনো অঞ্চলে ঘটে থাকা বিভিন্ন অপ্রাকৃতিক, ভৌতিক, আধ্যাত্মিকসহ যে কোনো গুজবের খবর পেলেই সেখানে ছুটে যান মনোবিজ্ঞানের প্রাক্তন অধ্যাপক নাহিদ। গোয়েন্দার মতন গবেষণা করে বের করে আনেন সেখানের আসল খবর, সকলের সামনে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেন এই আধ্যাত্মিক ঘটনাগুলোর আড়ালে আসলে কী চলছে। কানা শিয়ালের খবর পেয়ে মুচকি হাসেন নাহিদ। বিষয়টা একবার খতিয়ে দেখা দরকার। সহকারি মিরা ও ড্রাইভার তাউসিফকে নিয়ে নাহিদ ছুটে গেলেন ইউসুফ নগরে। পুরো গ্রামের মানুষ ভীত। এতগুলো মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কীসের ভয়ে কাতর? কানা শিয়ালের রহস্য কী? গভীর রাতে সেই বৃদ্ধের বাড়িতে আলাপচারিতার ফাঁকে দ্বন্দে লিপ্ত হন নাহিদ। সহসা টের পেলেন, কিছু একটা ঠিক নেই। বৃদ্ধের নির্লিপ্ত চেহারার আড়ালেই রয়েছে ভিন্ন কিছু। তার বলা কথাগুলো রূপক না কি আক্ষরিক? নাহিদ ফিরে এলেন, বৃদ্ধের রহস্য উন্মোচনে আরও প্রস্তুতি প্রয়োজন। ক্রমেই টের পেলেন, রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সেটা স¤পূর্ণ আলাদা কিছুর। গ্রাম, প্রকৃতির, গ্রামীন মানুষের মন বোঝা দায়। তারচেয়েও কঠিন, নিজ অতীতকে ফিরে দেখা। সাহিল রহমানের মনস্তাত্তিক রহস্যপোন্যাস ঐন্দ্রজালিক পাঠকের সামনে তুলে ধরবে প্রকৃতির কিছু অদ্ভুত রহস্যের দ্বার।