আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল ‘আলামীন, ওয়াস-সালাতু ওয়াস-সালামু ‘আলা রাসূলিনাল আমীন, ও ‘আলা আলিহী ওয়াআসহাবিহী ওয়ামান তাবি‘আহুম বিইহ্সানিন ইলা ইয়াওমিদ্দীন। দু‘আ কবূলের রহস্য নামক বইটি আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করেছি। এর আয়াতগুলোকে সূরাহ ও আয়াত নাম্বার, হাদীছগুলোকে কিতাবের নাম ও হাদীছ নং উল্লেখ করে তাখরীজের কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি। এর মধ্যে উল্লিখিত সকল বক্তব্য, যিক্র ও দু‘আ সরাসরি আল্লাহর শেখানো বা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপস্থাপিত অথবা সাহাবা কিরাম থেকে বর্ণিত। মহানাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর গোটা জীবনের সকাল-সন্ধ্যায়, সালাতের আগে-পরে, বিভিন্ন কার্যাদির আগে-পরে এ দু‘আগুলোর ‘আমল করেছেন এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণ এ দু‘আগুলো নিজেদের জীবনে ব্যবহার করেছেন, অনেক লাভবান হয়েছেন এবং ছাওয়াবের প্রাচূর্যতা নিয়ে পরপারে চলে গিয়েছেন। যুগ যুগ ধরে আমাদের আসলাফগণ নিজেরা যেমন ‘আমল করেছেন, তেমনিভাবে মুসলিম উম্মাহকে ‘আমল করার জন্য উৎসাহিত করে গেছেন। তাঁদের মধ্য থেকে কেউ যিক্র ও দু‘আর কিতাব লিখে আমাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আবার কেউ এর পক্ষে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে গেছেন। পরিশেষে বলা যায়, উপস্থাপক বা সংকলক তার সামর্থানুযায়ী বিষয়টিকে সহজ-সরল ভাষায় এবং সহীহভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। যদি উপস্থাপকের নিজস্ব বক্তব্যে কোনো ভুল-ত্রুটি দেখা যায়, তাহলে তা নিজস্ব ত্রুটি হয়েছে। আর যদি উদ্বৃতির মধ্যে তথ্যগত ভুল থাকে তাহলে তা উপস্থাপকের নয়। অতএব, কোনো প্রকার ভুল-ত্রুটি কোনো পাঠকের চোখে ধরা পড়লে এ অধমকে স্মরণ করিয়ে দিলে পরবর্তী সংস্করণে তা শুধরিয়ে নেয়া হবে ইনশা আল্লাহ। এ লেখনি দ্বারা যদি দীনের কিছু উপকার হয়, মানুষের ‘আমলী জীবনে কোনো উন্নতি সাধিত হয় তাহলে সংকলকসহ সকলের পরকালীন পাথেয় সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা যায়।