একজন মেরিনার কি কোনো কবির স্বপ্নে নৌ-অভিযানের পসরা বিছিয়ে দিতে পারেন, যা একটা উপমহাদেশের মানচিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে দিতে পারে! ট্রান্সফেমোরিয়ল প্রস্থেসিস-এর ঐন্দ্রজালিক পরিক্রমায় স্বপ্নানুলালিত জীবনের যাবতীয় ফাইভস্টার পার্সে নিয়ে কবিকে বোধহয় সেকারণেই আল্টিমেটলি পৌঁছে যেতে হয় অনন্ত কোনো স্টেশনের দিকশূন্যতায়। পার্থিবের গায়ে লেগে থাকা প্রতিটি আঁচড় সেখান থেকে রচনা করে চেনা ভ‚গোল আর অচেনা ইতিহাস। এই অনির্বচনীয়কে তখন সেলিব্রেট না করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। কভারলেস এই আশ্রয়টুকুই কবির কাছে আসলে নিঁখুত শূন্যের কৌত‚হল। চোখভর্তি অবাক নিয়ে দেখে চলেছেন ক্রমাগত আপডেটেড হয়ে চলা সেই ভার্সানগুলো। আর ‘অন্ধকারের সংজ্ঞা বদলে দিচ্ছে’ অগুনিত আলোপোকাÑ অদৃশ্যের পরমাণু থেকে দৃশ্যানুর দৃষ্টান্তমূলক উল্লম্ফনে। হাসন রাজার গানে শূন্যে ঘর বাঁধার মতোই সৈকতের অনুভবে তাই ধরা পড়ে অনস্তিত্বের নিগড়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা মানুষদের তবু নবরহম এর মোড়কে আদতে হড়ঃযরহমহবংং-কেই আঁকড়ে থাকার এক রিডিকিউলাস প্রচেষ্টা। প্রেম, দ্রোহ আর বাস্তবতার অনুচ্চ পরিধি ছাপিয়ে রাংতায় মোড়া জীবনের মহোৎসব তাই হয়ে উঠতে পেরেছে এক পরিপূর্ণ আত্মানুসন্ধান। “শূন্যের পংক্তিতে শূন্য / তার ভিতর শূন্যের ডালপালা...” আসলে ঈশপোনিষদের “...পূর্ণমদ: পূর্ণমদম পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে। /পূর্ণমাদায় পূর্ণমেদাবশিষ্যতে।।”-রই প্রতিস্বর।