আমি ক্লাস ছেড়ে চলে এলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট ইংরেজি ভাষার উচ্চারণ শিক্ষার উপর একটা কোর্স চালু করেছে। দশ সপ্তাহে বিশটা ক্লাস। তার সপ্তম সপ্তাহের আজ প্রথম ক্লাস। ক্লাস শুরু বিকেল সাড়ে তিনটায়। আমি তার আগেই উপস্থিত হয়েছিলাম কলা ভবনের দোতলায়। ঠিক ক্লাস শুরুর আগে চলে এলাম। এসে ভার্সিটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরির দোতলায় বসে এই লেখাটা লিখছি। শুরুটা পড়ে যে কেউ ভাবতে পারেন, আমি নেহাতই একটা গল্প ফাঁদার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমি জানি, এ আমার একান্তই নিজের কথা। তা যে কাউকে বলতে বা লিখতেই হবে, এমন নয়। তবু লিখছি। ইচ্ছে হলে গল্প বলতে পারেন অথবা না। লেখাটা এই বিশেষ সময়ের একটা খণ্ড অনুভূতি হিসেবেই আমার কাছে থাকবে। হয়তো।
আমি চারুকলার প্রথম বর্ষের ছাত্র। ইন্ডিয়ান কালচারাল কাউন্সিলের একটা বৃত্তি নিতে চাচ্ছি। সে জন্য ইংরেজিতে যে টোটাল দক্ষতা প্রয়োজন, তার জন্যই এই ইংরেজি ভাষা কোর্সে ভর্তি হওয়া। বিশজন ছাত্রছাত্রী নিয়ে প্রতিটা ব্যাচ। এখানে স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে গৃহিনী, চাকুরীজীবীরাও আছে। এদেরই একজনের নাম নাদিয়া। পুরো নাম জানি না। প্রথমদিন অরিয়েন্টেশন ক্লাসে শুনলেও এখন আর মনে নাই আমার। উজ্জ্বল শ্যামলা আর ছিমছাম চেহারার একটা মেয়ে। আমাদের ব্যাচের সবচেয়ে সুন্দর এবং আকর্ষণীয়া বলা চলে। অন্তত আমার চোখে তাই।