ভূমিকাংশ অবশেষে প্রকাশিত হলো সাইফুল্লাহ এমরানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। স্কুলজীবন থেকেই কবিতা লিখছেন। কবিতায় আছেন। দেয়ালিকায়, স্কুল ম্যাগাজিনে, লিটলম্যাগে, দৈনিকে-কোথায় লিখেননি তিনি। কিন্তু বই প্রকাশে আলস্য, আড়ালিত। এই শহরের সবচেয়ে স্মার্ট, সবচেয়ে জাগ্রত মানুষ তিনি। তিনি এই শহরের ভোরের পাখি-সবাইকে জাগিয়ে রাখেন। উজ্জ্বল লিলির মতো সবাইকে আলোতে রাখেন। প্রতিবাদে নিবার্ণে তিনি সবাইকে বাঁচিয়ে রাখেন। সবাইকে আগলে রাখার একটা প্রতিজ্ঞা নিয়ে তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতি করেন। তাঁর ভেতরটা সোমেশ্বরী নদীর মতো নির্মল-নিষ্পাপ। তাঁর কাব্যভাষাও সহজ ও দরদি। তাঁর কবিতার ভেতরে বালির নদীর মতো অদেখা ক্রন্দন। একজন বাউল যেমন বেহালা নিয়ে ঘুরেন, সাইফুল্লাহ এমরানও মানুষের ভালোর জন্য সর্বত্র হাঁটেন। তাঁর কবিতা মূলত আত্মযাপনের ইতিহাস। সবাইকে ভালো রেখেও কবিতায় তিনি উচ্চারণ করেন- ‘স্বার্থ পাখির ওড়াউড়িতে ঢেকে যায় আমার আকাশ।’ কবিতায় তিনি দুঃখী মুহূর্তগুলোকে লেখেন। সত্য লিখেন। সত্যে বাঁচেন। বাংলা ভাষায় নিজের পবিত্র জীবনকে লিখেন। এই কাটাকুটির সংসারে আমি তাঁর সহচর। আমি তাঁর বন্ধু। আমি তাঁকে, তাঁর কবিতাকে ভালোবাসি, ঈর্ষা করি। পৃথিবীতে তাঁর মতো জীবন্ত মানুষ দরকার। তাঁর হাত দুটোতে আরও আরও বাংলা কবিতা নামুক। দরদস্নাত কল্পনায় ভরে যাক তাঁর কবিতার খাতা। আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিন কবি। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন। শিমুল মিলকী নেত্রকোণা