আশমিনের তীব্র বিষাদ ভরা মুখের দিকে তাকিয়ে সানভির খুব মায়া হলো। গাড়ির কাচ ভেদ করে আনমনে বাইরে তাকিয়ে থাকা সুদর্শন পুরুষের চোখের কোণ খানিকটা ভিজে উঠল কি? প্রচণ্ড মন খারাপ হলো তার। গলার স্বর কিছুটা খাদে নামিয়ে নরম গলায় বলল, “প্রতিদিন এভাবে নিজের হৃদয়টাকে কেন ছিন্নভিন্ন করতে যান, স্যার? ম্যাম খুবই নিষ্ঠুরভাবে আপনাকে ভেঙেচুরে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমার খুব কষ্ট হয়।” শেষের কথাটা বলতে গিয়ে সানভির গলা ভারী হয়ে এলো। আশমিন হাসল। শুভ্র পাঞ্জাবিতে লেপ্টে থাকা পুরুষের বিষাদের হাসিটা বড়ো নির্মল লাগল সানভির। নিজের চশমার কাচ ভেদ করে বাইরের অন্ধকারে দৃষ্টি দিল আশমিন। মিনিট খানেক চুপ থেকে শান্ত গলায় বলল, “ভালোবাসা অদ্ভুত সুন্দর অনুভূতি, সান! চাইলেই এই অনুভূতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। ভালোবাসার মানুষ আঘাত করতে করতে অনুভূতিগুলোকে মেরে ফেললেও ইচ্ছে করবে সেই পচে যাওয়া অনুভূতির লাশ বারবার কবর থেকে তুলে এনে বুকের মাঝে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরতে। সেখানে আমার অনুভূতি তো জীবন্ত, চোখের সামনে প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়াচ্ছে। আমার ভালোবাসায় কোনো কার্পণ্য থাকবে না, সান। বিচ্ছেদেও আমি সমানভাবে ভালোবেসে যাব।”
"সানজিদা বিনতে সফি" একটি ছদ্মনাম। আপনজনদের কাছে তিনি সাথী নামে পরিচিত। তবে পাঠকবৃন্দ তাঁকে সানজিদা নামে গ্রহণ করায় এ নামটিকেই আপন করে নিয়েছেন তিনি। মুন্সিগঞ্জ জেলার, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বলই গ্রামে তাঁর জন্ম। বাবা মো. শফি শেখ এবং মা হালিমা বেগমের দ্বিতীয় সন্তান। পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে সংসারে থিতু হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি দুই সন্তানের জননী। লেখিকা সংসারের পাশাপাশি লেখালিখিতে বেশ মনোযোগী। অনলাইন জগতে তাঁর লেখা পাঠক- মহলে বেশ সমাদৃত। নিজের লেখাকে বইয়ের পাতায় দেখার ইচ্ছে থেকেই প্রকাশ করলেন তাঁর বই "ইটপাটকেল।" তিনি আশা রাখেন, বইটি পাঠকমহলের মন জয় করে নেবে, অসীম ভালোবাসা কুড়াবে।