চে’র চুরুট আর চন্ডীদাসের বড়শি হাতে বিশুদ্ধ প্রেমের পোস্টারবয় আমি...
একজন বিপ্লবী, ভাবালুতায় আচ্ছন্ন এক কবি আর মৃগয়ায় যাওয়ার ফিউডাল ফ্যান্টাসি-এরকম আশ্চর্য বৈপরীত্যের কোলাজ তৃণ’র মননে। জীবনেও। অপেরার প্রম্পটার সে। অরণির মতো ‘প্রিয়তম ভালোবাসা’ আসে তার জীবনে। কিন্তু আধাসভ্য নির্বোধ মানুষেরা প্রেম ও জোনাকির শত্রু হয়ে দাঁড়ায় বার বার। এই মানুষ প্রকৃতি ধ্বংস করে-জোনাকি বিলুপ্ত হয়, ভোগবাদের ভাইরাস ছড়ায়-প্রেম মরে যায়। সুস্থ সংস্কৃতি ও মানুষের ‘মানবিক প্রেম’ বিলুপ্ত হলে রমরমা হয়ে ওঠে পণ্যসভ্যতার মেকি প্রেম... শাওন্তিরা জোছনা রাতে নদীর বালুচরে তালের রসে মাতাল হয়ে মেতে ওঠে উদ্দাম জলনৃত্যে, গোধূলির ‘পূর্বরাগে’ অপেরার প্রম্পট ছেড়ে হিজলতলীতে রাত কাটায় তৃণ... পণ্যস্পৃষ্ট মানবজীবনের এ যেন এক অবশ্যম্ভাবী লংড্রাইভ। এ লংড্রাইভে একদিকে যেমন রতন বেহারার মেয়ে মালঞ্চি জানে-‘মেয়ে হয়ে গরীব ঘরে জন্ম নেওয়ার সীমাহীন যন্ত্রণা’ তেমনি অপরদিকে বিত্তের বৃত্তবন্দি মেয়ে হয়েও ‘ডানায় জড়িয়ে পালকের নিবিড়ে লুকিয়ে রাখার’ আকুতি নিয়ে ওয়েসিস হাতড়ায় অরণি।
‘পণ্যসভ্যতার বিষে নীল হলে কলমির গন্ধভরা জল/বালিকা কি ফাগুন হবে গিলে পণ্যপৃথিবীর অনল?’