১৯৫২ -১৯৭১ পর্যন্ত রাজপথে রক্ত ঝরানো এ ইতিহাসটি রচনাক্রমে সম্পাদনা করতে গিয়ে বেদনায় আপ্লুত হয়েছি। এ -কারণে যত বেশি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ইতিহাস চর্চা বাড়বে, অনিবার্য তত বেশি রাষ্ট্রের নাগরিকের দেশপ্রেম উন্নত স্তরে পৌঁছবে। এবং দেশপ্রেমই সকল উন্নয়নের একমাত্র চাবিকাঠি- দেশপ্রেম বাড়লে দুর্নীতি, অবৈধ উচ্চ বিলাসিতা বিচারহীনতা প্রতিরোধ করা সম্ভব: যে দুর্নীতি উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। দলমত-নির্বিশেষে অনেকের প্রত্যাশা- মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধসহ ৫০ বছরের বাংলাদেশকে মূল্যায়নের চোখে নানাভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। দেখতে হবে সমাজতন্ত্র ও -কারণ ১৯৭২ -প্রথম সংবিধানে সমাজতন্ত্র অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল- এবং তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রণীত হয়েছিল বলে তার প্রতি মূল্যবোধ দিয়ে নতুন করে মূল্যায়ন আবশ্যক। আবশ্যক আমাদের এক হাজার পৃষ্ঠার আধুনিক সংবিধান। এজন্য গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে- ইনডেমনিটি অধ্যাদেশসহ অনেকবার সংবিধান কাটাছেঁড়া হয়েছে খুব নিন্দনীয়ভাবে- যা নাকি সংবিধানের পবিত্রতাও নষ্ট করেছে। জরুরি শতভাগ ন্যায় বিচারের মানবতার বাংলাদেশ গড়তে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, অন্ন-বস্ত্র ও আইন-শৃঙ্খলাসহ বিচারিক শতভাগ নিরাপত্তা নিয়ে মৌলিক চাহিদাসহ ৬০টি মন্ত্রণালয়কে জবাবদিহিতাসহ শত ভাগ দুর্নীতিমুক্ত ও কার্যকর করতে হবে। এর মধ্যে বিচারব্যবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। শিক্ষিত হয়ে যুবকরা বেকার হচ্ছে কেন? শিক্ষিত হয় মানুষ কর্ম লাভ করার জন্য বা উপার্জনশীল কর্ম প্রাপ্তির জন্য। বাংলাদেশের সরকারের ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্বারা আদালতসমূহের উন্নয়নের হার্দিক ইচ্ছে থাকলেও পুরান সিস্টেমের কারণে, মৃতের হাসিতে কেঁদে ওঠে নিহারিকা ৫ ৬ মৃতের হাসিতে কেঁদে ওঠে নিহারিকা অভিজ্ঞতার অভাবে অনাকাঙ্খিত কারণে ও দুর্ভাগ্যজনকভাবে মামলার জটও তত বাড়ছে, বাড়ছে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে না আসতে পারলে প্রান্তিক মানুষের রাষ্ট্রের আইন- আদালতের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে না। একটি রাষ্ট্রের জুডিশিয়ারীর শতভাগ যোগ্যতা না থাকলে এবং শতভাগ বিশুদ্ধ আচরণ না করলে নাগরিকের কষ্টের সীমা থাকেনা। স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে যাবে। রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে গিয়ে সকল মেধাবীর এক উন্নয়ন প্লাটফরমে ঐক্য গড়তে হবে। দেশ উন্নত হলে- সকল দলের নেতাকর্মীদের সন্তানেরা সুখকর আবাসভূমি পাবে- দুধে ভাতে থাকবে বাংলাদেশ। আর একবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- ১৯৭১-এ যে নির্যাতন পেয়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি তা বিফলে যেতে দিব না। আমরা অঙ্গীকার নিয়ে প্রতি ফোঁটা রক্ত-এর দাম মূল্যায়ন করব তাহলে এদেশ উন্নত কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।