বৃষ্টির কালে মেঘেরা শালীন থাকে কী করে? -এরকম ফিচেল প্রশ্ন ছুড়ে দিতে পারেন যে কবি, তার কবিতার রসগ্রাহী পাঠক হতে ইচ্ছা করে। আঁতুড়ঘরে শিশুর কান্না দেখে বা শুনে বোঝার সাধ্য নাই ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে কীরূপ ছাপ সে রাখতে চলেছে। কেননা মানুষ সৃষ্টির আধার, কবি তার উৎসমুখ। সেই উৎসমুখে দাঁড়িয়ে কবি সোহেল ইয়াসিন পরিবেশনা করেন কবিতা- একবার ফেরাও চোখ/ পুড়ে যাবার পূর্বমুহূর্তে কিছু ছাইভস্মের/ সহজ সংস্থান করে যাবো ভাবছি। কিছু কিছু কবিতা বোধগম্যতার অধিক দখল করে মগজ, তার সহজ অনুরণন যেন সর্বসত্তাজুড়ে; ত্রিলোকের সুন্দর দর্শন-নন্দন ও বাস্তবের পরিকাঠামো পেরিয়ে তখন অনেক অনেক দূর নিয়ে যায়। কবিতা তাই যতটা বোঝা যায় তার থেকে বেশি, যতটা দেখা যায় তার থেকেও অধিক। আবার উলটোটা যদি বলা হয়, যা অধিক নয় তা আবার অল্পও নয়, হতে পারে তা সীমা ছাড়ানো বা রহস্যাবৃত। একটু দাঁড়াও, রহস্য বাড়ছে কাব্যগ্রন্থে কবি সোহেল ইয়াসিন এসব বিষয়ের মুসাবিদা করেন কীভাবে? তিনি যে মেঘের স্বভাব ফেরি করে বেড়ান! ‘সূর্যাস্তের অবিশ্বাস্য প্রভা’য় তিনি স্বতঃস্ফূর্ত সহজাত; তার শব্দগুলো নিজেরাই যথাস্থানে বসে কবিতার সৌধ গড়ে তোলে যেন।