চারিপাশে হৈচৈ। অথচ আপনি নির্লিপ্ত। আপনার চক্ষু স্থির হয়ে আছে। যেন কিছুই হয়নি। কেউ বলে ওঠে পাশ থেকে- “কী হলো? মনটা কোথায়?” এরপর ফিরে আসে সম্বিত। হ্যাঁ, এমনটা হয়। কারণ আমাদের দেহ উপস্থিত থাকলেও মন অন্য কোথাও নিবিষ্ট হয়ে থাকে কখনো কখনো। যদিও বিষয়টি ক্ষনস্থায়ী। দীর্ঘস্থায়ীভাবেও এমনটা হয়, কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে চিন্তাজগত পুরোপুরি একমুখী হয়ে যায়, সেই বৃত্ত থেকে কোনভাবেই বের হওয়া যায়না। আবার সিদ্ধান্ত নিয়েই চুড়ান্তভাবে মনকে সবকিছু থেকে আলাদা করে চিরস্থায়ী উদ্দেশ্য পূরণে সেট করে নিতে হয় , সাজিয়ে নিতে হয়। কখনো বাঁধার পাহাড় মাড়িয়ে, চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দ্বিধাহীন চলতে হয় কাঙ্খিত বিজয় তোরণের দিকে। কখনো আবার ধোঁকা আর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে পথ ও পাথেয় হারিয়ে শুরু করতে হয় আবার নতুন করে পথচলা। চুড়ান্তভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে মনকে এভাবে স্থির করে নেয়াই মাইন্ডসেট। প্রত্যেক মানুষের যেকোন সাফল্যের জন্যই “মাইন্ডসেট” জরুরি। যার লক্ষ্য যত দামী আর আকর্ষণীয় তার জন্য মাইন্ডসেট তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একজন মুসলিম মাত্রই জানেন একজন মুমিন মুসলিমের সাফল্যের ব্যপ্তি কতটা বিস্তৃত। তাই মুসলিম ব্যক্তির জন্য মাইন্ডসেটও অত্যন্ত গুরুত্ববহ। একজন মুসলিমের মনন কিভাবে সাজানো প্রয়োজন, কিভাবে সেট করলে নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় ও টেকসই করা যায় তারই ধারাবাহিক বর্ণনা আলোচিত হয়েছে ‘মুসলিম মাইন্ডসেট” বইটিতে।