আগমনে যাঁর ধন্য হলো ধরা আঁধার কেটে নামল আলোর ধারা, আগমণে যাঁর মুগ্ধ হলো মরু, প্রেমে তাঁহার জাহান পাগলপারা। পুরো পৃথিবী যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন। নেই আলোর দিশা । মিটিমিটি জ্বলছে ঐশী আলো গুটি কয়েক হৃদয়ে। আগমণ নেই কোন নবী-রাসূলের। হানাহানি, মূর্তিপূজা, জুলুম সীমা ছাড়িয়ে উবে গেছে সব আলোর আশা। যেন এক নিঃস্ব পৃথিবী। কিন্তু পৃথিবী তো পৃথিবীর মত চলেনা। রব্বে কারীমের পরিকল্পনাধীন সবই। প্রস্তুতি শুরু হলো এক আলোকধারা অবতীর্ণের। দুনিয়া প্রস্তুত হতে শুরু করল এক মহামানবের অপেক্ষায়। জমজমের অপেক্ষা আবার পানি সরবরাহের। ফুলেদের অপেক্ষা অনন্য সৌরভে সুরভিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায়। যেন বুলবুলির কন্ঠেও উঠবে এক নতুন সুর। প্রস্ফুটিত হতে শুরু করল আলোর দিশারী সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব আগমণের অলৌকিক সব বার্তা। যাদের অন্তরে ওহীর জ্ঞান তখনও অবশিষ্ট ছিল তারা উপলব্ধি করল সেই সকল আগমণী মু’জিজা। সেই মুজিযার শিহরন এই বইয়ের পরতে পরতে লিপিবদ্ধ। যার ছোঁয়া হৃদয়কে উচ্ছ্বসিত করে এক পবিত্র আবেশে। উদ্বেলিত হৃদয়ের কল্পতরু হয়ে ওঠে ১৫০০ বছর বয়সী অশ্বথ বৃক্ষ। পাঁজরে আবদ্ধ হুদহুদ ডানা ঝাপটায় কাবা চত্বর থেকে মদিনা হয়ে সিরিয়ার প্রাসাদ অবধি।