ফিকহ সংকলনের ইতিহাস: কুরআনুল কারীমের ফয়সালা অনুযায়ী উম্মতে মুহাম্মদীর কিছু লোক ফিকহের গবেষণায় মগ্ন থাকবে আর অন্যরা তাঁদের গবেষণালব্ধ বিষয়গুলো গ্রহণ করবে। মূলত ফিকহ কিতাবুল্লাহ এবং সুন্নাহ থেকে আলাদা কিছু নয়, বরং এ দুয়ের গভীরে থাকা বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে সামনে আসার নামই হচ্ছে ফিকহ। সুতরাং ফিকহ হচ্ছে, ঐশী হেদায়েত এবং শরীয়তে নববী হতে আবিষ্কৃত একটি বিষয়। এ কারণে কালামে হাকীমে এবং হাদীসে ফিকহের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেমন, "তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হয় না, যেন তারা দ্বীনের জ্ঞান (ফিকহ) অর্জন করে, এবং তাদের জাতিকে সতর্ক করতে পারে যখন তারা তাদের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা সতর্ক হয়। (সুরা তাওবা-১২২) রাসূলে কারীম (সা.)-এর যুগ থেকেই ফিকহশাস্ত্রের সূচনা হয়েছে। সুস্পষ্টভাবে যে সকল বিষয় কুরআন- সুন্নাহে নেই, সে বিষয়ে রাসুলে কারীম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে ইজতিহাদের পথ বাতলে দিয়েছেন। রাসুলে কারীম (সা.)-এর ইন্তিকালের পর হযরত সাহাবায়ে কেরাম (রা.) নতুন নতুন বিষয়ের ক্ষেত্রে সে পথই অবলম্বন করেছেন। এভাবে জাতি তাদের আইনি প্রয়োজন ও চাহিদাগুলো মেটাতে সক্ষম হয়েছে।