ফিকহে ইসলামীর মূল উৎস হলো চারটি। সেগুলো হলো ১. কুরআন, ২. সুন্নাহ, ৩. ইজমা ও ৪. কিয়াস। ১. কুরআন: মহানবী (সা.)-এর নবুয়ত লাভের পর মৃত্যু পর্যন্ত সুদীর্ঘ তেইশ বছরে প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী পবিত্র কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ হয়েছে। এতে সর্বমোট ৬৬৬৬ টি আয়াত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় পাঁচশত আয়াত হলো শুধু আইন-কানুন সম্পর্কীয়। অবশিষ্টগুলো হলো ওয়াজ-নসীহত ও ইতিহাস। তবে এই ওয়াজ-নসীহত ও ইতিহাসের মধ্য হতেও কিছু আইন-কানুন বের হয়েছে। এ সবগুলোই হলো ফিরে মূল উৎস। ২. সুন্নাহ: রাসূল (সা.)-এর অনুসরণ ও অনুকরণ করার জন্য মহান আল্লাহ নির্দেশ প্রদান করেছেন। সে কারণেই সাহাবীগণ সর্বদা রাসূল (সা.)-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করতেন। যা করতে দেখতেন তাই করতেন এবং কখনো তাঁরা কোনো সমস্যায় পড়লে তা রাসূল (সা.)-এর নিকট এসে জেনে নিতেন। মহানবী (সা.)-এর অসংখ্য সুন্নাহ হতে প্রায় (৩০০০) তিন হাজার হাদীস ইসলামি ফিকহের মূল উৎস হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। এগুলোতেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান নিহিত রয়েছে। ৩. ইজমা: ইজমা হলো উম্মতে মুহাম্মদীর সর্বসম্মত অভিমত। কুরআন ও হাদীসে নব উদ্ভাবিত কোনো সমস্যার সুস্পষ্ট সমাধান না পাওয়া গেলে তখন এ উম্মতের মুজতাহিদগণ কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে এর গবেষণা চালাতেন। এরপর কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান নির্গত হলে যদি তাতে সকলে ঐকমত্য পোষণ করতেন, তবে তাকে ইজমা বলা হতো। এটি ফিকহে ইসলামির একটি মূল উৎস। যেমন- হযরত আবু বকর (রা.)-কে খলীফা নিযুক্ত করার ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকার ফলে সকল সাহাবীদের সর্বসম্মত অভিমত দ্বারা তাঁর খিলাফতের বৈধতা প্রমাণিত হয়েছে।