অত্যন্ত সাধারণ জীবন কাটাচ্ছিল ইশরাফিল শামস, বন্ধুমহলে যাকে সবাই স্যামি হিসেবে চিনে। ভার্সিটি পড়ুয়া একেবারেই সাধারণ দেখতে এই ছেলের রয়েছে অন্ধকার এক অতীত, পাশাপাশি বংশানুক্রমে পাওয়া কিছু রহস্যময় অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা। সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে উপযুক্ত মূল্যের বিনিময়ে অলৌকিক স্বত্বার বিরুদ্ধে লড়াই করে এতদিন সে জীবন কাটিয়ে আসছিল। ঠিক সেভাবেই একদিন ফাদার হাবার্টের সাহায্যের ডাকে সাড়া দিয়ে স্যামি চার্চে পৌঁছল, কাকতালীয়ভাবে রাস্তায় তুলি নামে ওর ক্লাসেরই এক মেয়ের সাথে দেখা হল। দুইজনের ভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে চার্চে এলেও স্যামি চার্চে যা দেখল তাতে ওর জীবনের মোড় ঘুরে গেল। সারাজীবনের অভিজ্ঞতালদ্ধ জ্ঞান এবং জন্মগত অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার বাইরে বোধগম্য নয় এমন এক রহস্যময় ঘটনার সম্মুখীন হল সে। এবং জড়াতে না চাওয়া স্বত্বেও ওর পিছনে লেলিয়ে দেয়া হল মৃত্যুদূত। নিজেকে রক্ষা করার জন্য বাধ্য হয়ে সেই ঘটনার সূত্র ধরে কিছু বিচ্ছিন্ন অতিপ্রাকৃত রহস্যের সমাধানে নামল স্যামি, যার সাথে অদ্ভুতভাবে তুলির অতীতের যোগ আছে। একইসাথে টের পেল, সেই অতীত থেকে আসা শক্তিশালী স্বত্বা ওকে চিরতরে দুনিয়াতে মিটিয়ে দিতে ইচ্ছুক! নিজের অস্তিত্ব রক্ষায়, চারপাশে ঘটতে থাকা অতিপ্রাকৃত ঘটনা সমাধান করতে গিয়ে একের পর এক বাধার সম্মুখীন হতে লাগল স্যামি। ভিন্ন পক্ষ কেউ রহস্য সমাধানে ওকে বাধা দিতে চায়, শক্তিশালী এক প্রাননাশী স্বত্বা ওর রক্ত চায়। এদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্লান্ত, শ্রান্ত, এবং বিধ্বস্ত স্যামি যখন রহস্য সমাধান করার দ্বারপ্রান্তে এল, টের পেল সেই অতীতের শক্তিশালী স্বত্বা স্রেফ ক্ষমতার লোভে ধ্বংস করতে চাইছে দুনিয়া! স্বার্থ এবং সময়ের প্রভাবে বন্ধু শত্রু হয়ে যায়, শত্রু হয়ে যায় বন্ধু। প্রস্তুতি নেয়া শেষ, দুই কালকূট মিলে সৃষ্ট করবে পদ্ম, দুনিয়া ধ্বংস করতে আসছে মহা অতিপ্রাকৃত স্বত্বা। ক্ষমতা, লোভ, শক্তির অপব্যবহার এসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কী সবসময় সততা আর সত্যের জয় হয়? জানার জন্য স্যামির সাথে অতিপ্রাকৃত জগতে আপনাদেরও আমন্ত্রণ রইল।