সত্য, মানবজীবনের এক অন্যতম সৌন্দর্য ও নিয়ন্ত্রক। দাবি করে, মানুষ চেনে, অথচ নিজে মানুষ হয় না, এমন মানুষের কাছে ‘সত্য’এর মূল্য নেই। জল ছাড়া নদী যেমন আর নদী থাকে না, সত্যবোধ ছাড়া মানবজীবন তেমন পরিপূর্ণভাবে অর্থবহ হয় না। অন্যান্য প্রাণীর মতো মানুষও প্রথমে প্রাণী হয়ে জন্মায়, তারপর তাকে মানুষ হতে হয়। প্রকৃত মানুষ হওয়াই মানবজীবনের অন্যতম ধর্ম। আপনার ভেতরটা কাউকে পড়তে দিলেন তো আপনি চুরি হয়ে গেলেন। কিংবা অভিনয় শেখে মানুষ স্বার্থপরতা থেকে। যার যতবেশি স্বার্থ, সে ততবেশি দক্ষ অভিনয়ে। এমন মানুষের সংখ্যা চারপাশ এবং ক্রমবর্ধমান। আজকাল মানুষ আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার চেয়ে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিংমলে ঘুরতে ভালোবাসে। সমাজের ভেতর আত্মকেন্দ্রিকতার বসবাস বেশ। আর্থ-সামাজিক অবস্থা যেন বিচ্ছিন্নতা বোধ বপন করেছে মানুষের চিন্তার ভেতর। একা থাকার চলটা সেখান থেকে। রমলার বাসায় আগে অনেকেই আসত। এখন আসে না। ছোঁয়া লাগলেই যেন ঝরে পড়বে। শেষ অবধি ঝরল। আঙুল দিয়ে দ্রুত জলফোটা সরিয়ে নিল। দুই ঠোঁটের সন্ধিক্ষণে ক্ষীণ হাসি উঁকি দেয়। শুধু ভাঙন আর জলোচ্ছ্বাস ছাড়া জলের তৃতীয় কোন রুক্ষতা নেই। সঞ্জুর চোখ মায়াবী হয়ে ওঠে নিমিষে। নারী জীবনের পথটা কন্টকহীন নয়। রক্তমাংসের মানুষ এবং মেধা, সক্ষমতা, সফলতা থাকলেও পরিবার, সমাজ তাকে আজও দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে। প্রতিদিন, প্রতিক্ষন প্রতিটি নারী এক অবর্ণনীয় চাপা কষ্টের ভেতর দিয়ে এক অপার সৌন্দর্যের বাগান রচনা করে চলেছে।