বিবর্তনের ডানায় মুখ লুকানো একটাই রোদ। মাঝখানে সকাল, দুপুর আর ঘোরলাগা বিকেলের আনাগোনা। বদলে যাওয়া উত্তাপের সাথে এবার খর্বকায় হলো নামের রূপান্তর। প্রথম নামে লেখা-কালের শুরু দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিকে। সম্পাদনাতেও বহমান ছিলো এই অনাচার। মাঝেরটা অধিবিদ্যাবিৎ। অথচ এ কেতাবি নামে ইতোমধ্যে প্রকাশিত হলো: সুতোয় বাঁধা একটি দুপুর (কাব্যগ্রন্থ) যে নদী বঙ্গতীর্থে (কাব্যগ্রন্থ) সমান্তরাল ছায়াসমষ্টি (গল্পগ্রন্থ) উল্টো আঙুল (ছড়াগ্রন্থ) সাম্প্রতিক চৈত্রচর্চা (কাব্যগ্রন্থ)। এবার শুরু শেষ নামে-নতুন বিনয়ে, পারিবারিক সম্বোধনের চিহ্ন ধারণ করে। সহৃদয় বিবেচনার আকাঙ্ক্ষায় বিবিধ বৃষ্টিপাত এবং তার নতুন নামের কবিকে অপার আগ্রহে প্রাজ্ঞ পাঠকের হাতে তুলে দেওয়া হলো। °°° সৃজনের সকল প্রয়াসে, বিশেষত কবিতায় পাঠকের জন্য অনন্য উপলব্ধির শক্ত শিকড় তৈরির আকাঙ্ক্ষা সকল কালেই জাগ্রত ছিলো। সেই লক্ষ্যকে ধারণ করেই ভাষা ও ভাবনার নিরন্তর পরিভ্রমণ, প্রাণের প্রকাশ-মাধুর্য, স্পৃহার গভীর অন্বেষণ কবিতাকে যুগ-অতিক্রমে সহায়তা করেছে। মাহবুব তরুণ এক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবেই সৃজন- প্রবণ এবং অতিক্রমের উচ্ছ্বাসে নিবেদিত। ইতোমধ্যে প্রকাশিত তাঁর তিনটি কাব্যগ্রন্থে এই পর্যবেক্ষণের দৃশ্যমানতা বিশেষভাবে লক্ষযোগ্য। বর্তমান গ্রন্থে কবিতার আঙ্গিকতা ও বিন্যাসে পরিবর্তনের সংযোগ ঘটাতে সচেষ্ট হয়েছেন তিনি। ঐতিহ্য-বোধ, আনুষঙ্গিক দর্শন, সমকাল ও ক্ষয়িষ্ণু প্রকৃতির আচরণ, জীবন- দুর্যোগের ভিন্নমাত্রিক দ্রোহ, পরাবাস্তবতা, উপমা ও সৌন্দর্য-সচেতনতা, এমনকি মৃত্যুভাবনার নান্দনিক বিন্যাস তিনি বিবিধ বৃষ্টিপাত-এর ধারা-বহতায় ছড়িয়ে দিয়েছেন নিপুণ কৌশলে। নন্দন-চর্চার পাঠে ও প্রাসঙ্গিকতায় কবিতামনষ্কগণ এই গ্রন্থটিকে অনুকূল ভাবনায় তুলে নেবেন মর্মে আমাদের বিশ্বাস। পুনশ্চ: পূর্ববর্তী গ্রন্থ-প্রকাশনায় তাঁর ব্যবহৃত নাম মাহবুবুল ইসলাম। এখানে এবার আগ্রহভরে সুস্পষ্ট পরিবর্তন এনেছেন। এ-গ্রন্থে তাঁর কবি-নাম মাহবুব তরুণ। আগামীতে এ-নামে সম্পর্কিত থাকতে ইচ্ছুক তিনি।