মানুষ হয়ে জন্মেছিলাম। কিন্তু জীবনপথ চলতে চলতে অসংখ্যবার বিচ্যুত হয়েছি। তবে লাইনচ্যুত হইনি কখনো। এই এবড়োথেবড়ো পথ হাঁটতে হাঁটতে একদিন মনে হলো মানুষ হয়ে ওঠাটাই সবচেয়ে জরুরি বিষয়। একবার মানুষ হয়ে উঠতে পারলে অন্যসব পরিচয় পানসে লাগে। আমি একজন মানুষ। এরচেয়ে বড় কোনো পরিচয় আমার কাউকে দেবার নেই। আমার লেখালিখির আরম্ভকাল বাল্যকালে। সেই সময় বাবা চাকরি সুত্রে চলে যান চট্টগ্রামে। বিচ্ছেদের এই দাবানলে জ্বলে উঠেছিলো শব্দের আগ্নেয়গিরি। একসময় আমিও চট্টগ্রামে বসবাস করেছি। আমার প্রথম স্কুল ছিলো ওয়ার্লেস ঝাউতলা কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়। যদিও কলম হাতে তুলে নিয়েছি তেরো সালের দিকে। চৌদ্দ সালের দিকে প্রকাশিত হয় "হরিণ কাঠের নৌকা"। এটি কবিতার বই। একুশ সালে প্রকাশিত হয়েছে প্রথম গল্পের বই," জলকথা"। ষোল সালের শেষ দিকে আমি অ্যাঙজাইটিতে আক্রান্ত হয়েছিলাম। এ সময় পুঁজিবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠি। অনুধাবন করি, বর্তমানে আমাদের যাবতীয় সমস্যার মূল কারণ হলো পুঁজি। পুঁজিবাদ তার নিজস্ব পথ কায়েম করার জন্য পারিবারিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনকে শিথিল করেছে। তাই এখন সবাই বিচ্ছিন্ন, কেউ কাউকে নিয়ে ভাবতে পারছে না। এ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হলো সচেতন মনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। যদি অবচেতন মনকে জেনে-শুনে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায় তবে ব্যক্তিত্ব জেগে উঠবে। সেক্ষেত্রে অবচেতন মনকে ব্যবহার করে পুঁজিবাদ যে-ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে সেই জালও বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব। এসব জীবনযন্ত্রণা নিয়ে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে আমার প্রবন্ধের বই "পুঁজিবাদঃ আমাদের বন্দিদশা"।
মানুষ হয়ে জন্মেছিলাম। কিন্তু জীবনপথ চলতে চলতে অসংখ্যবার বিচ্যুত হয়েছি। তবে লাইনচ্যুত হইনি কখনো। এই এবড়োথেবড়ো পথ হাঁটতে হাঁটতে একদিন মনে হলো মানুষ হয়ে ওঠাটাই সবচেয়ে জরুরি বিষয়। একবার মানুষ হয়ে উঠতে পারলে অন্যসব পরিচয় পানসে লাগে। আমি একজন মানুষ। এরচেয়ে বড় কোনো পরিচয় আমার কাউকে দেবার নেই। আমার লেখালিখির আরম্ভকাল বাল্যকালে। সেই সময় বাবা চাকরি সুত্রে চলে যান চট্টগ্রামে। বিচ্ছেদের এই দাবানলে জ্বলে উঠেছিলো শব্দের আগ্নেয়গিরি। একসময় আমিও চট্টগ্রামে বসবাস করেছি। আমার প্রথম স্কুল ছিলো ওয়ার্লেস ঝাউতলা কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়। যদিও কলম হাতে তুলে নিয়েছি তেরো সালের দিকে। চৌদ্দ সালের দিকে প্রকাশিত হয় "হরিণ কাঠের নৌকা"। এটি কবিতার বই। একুশ সালে প্রকাশিত হয়েছে প্রথম গল্পের বই," জলকথা"। ষোল সালের শেষ দিকে আমি অ্যাঙজাইটিতে আক্রান্ত হয়েছিলাম। এ সময় পুঁজিবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠি। অনুধাবন করি, বর্তমানে আমাদের যাবতীয় সমস্যার মূল কারণ হলো পুঁজি। পুঁজিবাদ তার নিজস্ব পথ কায়েম করার জন্য পারিবারিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনকে শিথিল করেছে। তাই এখন সবাই বিচ্ছিন্ন, কেউ কাউকে নিয়ে ভাবতে পারছে না। এ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হলো সচেতন মনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। যদি অবচেতন মনকে জেনে-শুনে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায় তবে ব্যক্তিত্ব জেগে উঠবে। সেক্ষেত্রে অবচেতন মনকে ব্যবহার করে পুঁজিবাদ যে-ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে সেই জালও বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব। এসব জীবনযন্ত্রণা নিয়ে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে আমার প্রবন্ধের বই "পুঁজিবাদঃ আমাদের বন্দিদশা"।