কবিতার গহীনে কবিতা লেখেন জীবন ও সময়ের নিপুণ রূপকার, কবি শরীফ নাফে আস্-সাবের। তুখোড় মেধাবী শিল্পদৃষ্টির সাথে ছন্দ আর কথার জাদু দিয়ে তিনি তৈরি করেন প্রকৃতির অপরূপ রূপকল্প, তুলে ধরেন জীবনের বারোয়ারি ছবি। কিশোর কবিতা জগতে তিনি সৃষ্টি করেছেন এক অন্যরকম ঘরানা- তাঁর কবিতায় আছে প্রকৃতি, নস্টালজিয়া এবং শিশু-কিশোরসুলভ ইচ্ছা অনিচ্ছার অপূর্ব প্রকাশ। একই সাথে, তাঁর কুশলী হাতের মজাদার বিদ্রূপাত্মক লেখায় ফুটে উঠে সমাজের নানা অন্যায়, ঘাত প্রতিঘাত আর অসংগতির কথা। 'নীল ময়ূরের নাচ' কবি শরীফ আস-সাবেরের চতুর্থ কবিতার বই হলেও এ'টি তাঁর প্রথম কিশোর কাব্য। কবি মনে করেন, শৈশব আর কৈশোরের প্রতিটি পর্বের কাছেই আমরা আজীবন ঋণী আর সেই ঋণের বন্ধন থেকে মুক্তির কোন উপায় নেই, বরং দায়বন্ধনে আবদ্ধ থেকেই আমরা কুড়িয়ে নিই চৌখুপী জীবনের রকমারি রসদ। সেইসব অম্ল মধুর সময়ের স্মৃতি, জীবনের গতিময়তা আর অমোঘ বাস্তবের শৈল্পিক সংমিশ্রণেই এই বইয়ের সৃষ্টি। বইটির জন্য নির্বাচিত টক ঝাল মিষ্টি ছড়া ও কবিতা শিশু-কিশোরদের মনের কথার সাদামাটা অনুরণন হলেও লেখাগুলো ছোট বড় সব বয়েসী পাঠকের কাছেই সুখপাঠ্য এবং চিত্তাকর্ষক হিসেবে বিবেচিত হবে, সন্দেহ নেই। বর্তমান সময়ে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান সব্যসাচী লেখক সিদ্ধার্থ সিংহ মনে করেন, 'নীল ময়ূরের নাচ' অচিরেই বাংলা সাহিত্য জগতে 'একটি মাইলস্টোন' হয়ে উঠবে।