কত রঙের এ জীবন; জলছবির ন্যয় ঝাপসা, স্বপ্নের ন্যয় অধরা অথচ অসম্ভব সুন্দর এক প্রতিবিম্ব যা কিনা চোখ খুললে নয় চোখ বুজলে মস্তিষ্কের গাড়ো ঘনত্ব ভেদে নিউরনের বুদবুদে সমুজ্জ্বল দীপশিখার ন্যয় চোখের পাতায় ঝলমলিয়ে উঠে। দেখ দেখি কান্ড কি বলতে এসে কি বলে ফেললাম, কি করতে এসে কি করে ফেললাম। আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রায়শই এ কথাগুলো বলে থাকি। বিশেষকরে যখন পরিকল্পিত একটি কাজ করতে গিয়ে অপরিকল্পিত অন্য কোন কাজ করে বসি তখন এই আপসোস গুলো বেশী করি। তবে এই অপ্রত্যাশিত সব পরিণাম কিন্তু আপসোস কিংবা মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায় না কিছু ফলাফল আনন্দের আলোকছটা হয়ে মুখখানাকে ঝলমলিয়ে তোলে। মাঝে মাঝে বেগ ভর্তি শপিং করে বাড়িতে এসে আপসোস করি আবার বাই ওয়ান গেট ওয়ান সার্ভিস পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ি। ভাবি সুখ যেন না চেয়ে পাওয়ার পিঞ্জিরায় বেশী বন্দি। আবার একটি নির্দিষ্ট পণ্য উৎপাদন করতে গিয়ে ঐ পণ্যের উচ্ছিষ্টাংশ হিসেবে আরেকটি পণ্য পেয়ে থাকি যা নিজেই আলাদা একটি পণ্য। যদিও সেটা বাই প্রোডাক্ট বা উপপণ্য কিন্তু মূল পণ্যের চাইতে কোন অংশে কম নয়। যেমন শস্য থেকে খড়, ধান ভাঙলে চালের সাথে কুঁড়ো, সরিষা ভাঙলে তেলের সাথে খৈল। এমন হাজারো বাই প্রোডাক্ট রয়েছে যা উৎপাদকের মূল প্রোডাক্ট নয়, আশীর্বাদস্বরূপ অন্য প্রোডাক্ট থেকে বের হয়। আমার বইটাও তাই। আমি মূলত কোন লেখক নই তাই লেখালেখি আমার কাজও নয়। তবে বই পড়তে ভীষণ ভাল লাগে আর সেই ভালোলাগা থেকেই আজকের বাইপ্রোডাক্ট অর্থাৎ বই পড়তে গিয়ে বইটা লেখা। আমার বই পড়ার শুরুর দিকটা বেশ খটোমটোই ছিলো কারণ অনেক বাংলা শব্দের অর্থ জানতাম না, লেখকদের ভাবার্থ বুঝতাম না তাই বই পড়ে মজাও পেতাম না। কিভাবে বই থেকে মজা নেওয়া যায় সেই সন্ধানে বাংলা একাডেমির 'আধুনিক বাংলা অভিধান' বইটা কেনা। তারপর শুরু হয় বইয়ের জগতে বিরামহীন যাত্রা। যখন কোন নতুন শব্দ পেতাম অমনি