এই বইটি মূলত ধ্বনিতত্ত্ব এবং ধ্বনিবিদ্যা বিষয়ক; শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। বইটিতে যেমন ধ্বনির তাত্ত্বিক বিষয়গুলো অর্থাৎ ধ্বনির ধারণা, উৎপত্তি ও পাঠের প্রকারভেদ, ধ্বনিলিপি ও উচ্চারণমূলক ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দধ্বনিতত্ত্ব, শ্রবণ ধ্বনিতত্ত্ব সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে, তেমন ধ্বনির ব্যবহারিক দিকগুলোও তুলে ধরা হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা ধ্বনির তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক দিকগুলোর একটা সমন্বয় করতে পারবে, অর্থাৎ এই বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করতে পারবে, এবং ব্যবহারিকভাবে কাজে লাগাতে পারবে। ব্যবহারিক দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে, শব্দার্থিক প্রক্রিয়াকরণ, বাচন এবং যোগাযোগ যোগাযোগ বৈকল্য সম্পর্কে ধারনা এবং বিপন্ন ও বিলুপ্ত ভাষা সংরক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা। এছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রে ধ্বনিলিপির ব্যবহার সম্পর্কেও বইটিতে জোর দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বইটিতে ধ্বনিতত্ত্বের দার্শনিক এবং স্নায়ুবিক দিকগুলি সম্পর্কেও কিছুটা বলা হয়েছে যা শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে সাহায্য করবে। একটি বিষয় বলে রাখা জরুরি যে, বইটি শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞানের জন্য একটি রূপরেখা মাত্র। সঠিক প্রশিক্ষণ, নিবন্ধন এবং অনুমোদন ছাড়া বাস্তব জীবনে অনুশীলনের জন্য নয়।