সেকালের কোনো কবিয়াল এ কাহিনীর খানিকটা আঁচ করতে পারলেই ‘কলঙ্কিনী সোনালি' নাম দিয়ে চটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করে বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে মুড়ি-মুড়কির মতো বিক্রি করতে পারতেন। ১৯৫৭ সালে সোনালি দাসগুপ্ত ১১ মাসের সন্তান কোলে নিয়ে বোম্বে থেকে দিল্লি পর্যন্ত বেগম মকবুল ফিদা হুসেন সেজে সদ্য জোগাড় করা পাসপোর্ট হাতে নিয়ে দিল্লি থেকে প্যারিস পালিয়ে যান। তার প্রেমিক পুরুষ বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ইতালির রবের্তো রোজেলিনি তখনো ভারতে। একসময় রবের্তো প্যারিসে এসে যোগ দেন সোনালির সঙ্গে। নতুন এই জোড় ফিরে যান ইতালিতে রবের্তোর ভিলায়। তখনো রবের্তোর স্ত্রী বিশ্বখ্যাত সুন্দরী নায়িকা ইঙ্গরিড বার্গম্যান স্ত্রী হিসেবেই বিরাজ করছেন। হলিউড ভেঙে পড়ল রোজেলিনির বিরুদ্ধে। ইঙ্গরিডকে রেখে বাদামি চামড়ার সোনালি কেন? তাছাড়া সোনালি কে? ভারতের প্রেস ছি ছি শুরু করল । ভারতের বাঙালি ঘরের মেয়ে বিদেশির অঙ্গুলি হেলনে ঘর ভাঙবে ! দু'ছেলের একটি রেখে একটিকে নিয়ে দেশত্যাগ করবে? এ কোন কলিকাল ! ঠিক এরকম এক ডজন ও তিনটি রচনা নিয়ে সোনালি ও রোজেলিনি। বিচিত্র বিষয় যাদের প্রিয় পাঠ, তারা সোনালি ও রোজেলিনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না।