বিবিএ প্রোগ্রামে অধ্যয়নরতদের অনেক কিছুই ক্লাশরুমে পড়ানো বা শেখানো হয় না। কিন্তু অহরহ তাদের সেগুলো করতে হয়। এমনকি সেই বিষয়গুলোর দুর্বল পারফর্মেন্সের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে চূড়ান্ত ফলাফলে। তা ছাড়া মাঝেমধ্যে প্রেজেন্টেশন কিংবা কোর্স ভাইভা চলাকালীন কঠোর সমালোচনাও শুনতে হয়! শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় সেভাবে শেখানো হয় না, কোন ধরনের পারফর্মেন্স প্রত্যাশা করেন সেটা স্পষ্ট করে বলাও হয় না। অথচ মূল্যায়নে তার প্রভাব পড়েÑএই সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কী? বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষার একজন সক্রিয় স্টেকহোল্ডার হিসাবে এই প্রশ্নটা আমাকে দীর্ঘদিন ভাবিয়েছে। তা ছাড়া পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন, মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ, প্রেজেন্টেশন পর্যবেক্ষণ করার সময় শিক্ষার্থীদের অসংখ্য সীমাবদ্ধতা নজরে আসে। বিষয়গুলো পূর্বে কেউ একজন ধরিয়ে দিলে সেগুলোতে উল্লেখযোগ্যমাত্রায় উন্নতি করাও সম্ভব বলে মনে হয়েছে। আর তখনই বইটি লেখার কাজে হাত দেই। স্বউদ্যোগে প্রেজেন্টেশন, অ্যাসাইনমেন্ট, সেমিনার পেপার, ইন্টার্নশিপ, ভাইভা প্রভৃতি বিষয়ে শেখার জন্য বাস্তবসম্মত গাইডলাইন হিসাবে বইটি রচিত হয়েছে। একজন ব্যবসায় শিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টক্ষেত্রে চাকরি প্রত্যাশীগণ বইটি থেকে দারুণভাবে উপকৃত হবেন বলে আশা করছি।
পড়তে ভালোবাসেন। দেশ-বিদেশের বইতো বটেই...পরিত্যক্ত ঠোঙ্গা, পুরনো সংবাদপত্র, ব্যবহৃত পণ্যের প্যাকেট, এমনকি পরীক্ষার খাতা সবই পড়েন নিবিষ্ট মনে। তবে কখনো সেগুলো মনে রাখতে চেষ্টা করেন না। ফলে পড়াটা হয়ে উঠে দারুণ উপভোগ্য। মেলে বহুবিধ চিন্তার খোরাক। ছাত্রজীবনে বক্তৃতা ও রচনা প্রতিযোগিতায় ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রতিফলন দেখা যায় বিভিন্ন লেখায় ও পাবলিক লেকচারে। বাই চয়েস শিক্ষকতা পেশায় আসা এই মানুষটি ভালোবাসেন নতুন নতুন বিষয়ে জানতে ও অন্যদের সাথে শেয়ার করতে। তাঁর যে কোন লেখা পড়তে থাকলে মনে হয় যেন ক্লাসে বসে লেকচার শুনছি। অর্থাৎ স্বকীয় বাচনভঙ্গীকে তিনি অতি দক্ষতায় লেখনীর মাধ্যমে সাবলীলভাবে প্রকাশ করেন-- যা সচরাচর দেখা যায় না।