ভূমিকা প্রথমেই কবুল করে নেয়া ভালো যে আমার এ মেঘনা কোন উপন্যাস নয়, ইতিহাস নয় এমনকি কোনো আত্মকতাও নয়। এটা আত্মোপলব্ধিজাত একটি অভিনব রচনা। মেঘনার পাড় ভৈরবের সন্তান আমি। উলু-খাগড়ার জলাভূমি উলুকান্দা কেমন করে বিখ্যাত ভৈরব বন্দরে পরিণত হলো, তা জানার কৌতূহল আমার বাল্যকাল থেকে। আমি ভৈরব বাজারের অলিগলি, সড়ক, রোড সব ঘুরেছি। বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীর বরপুত্র ভৈরব বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কষাকষির হীন কলা-কৌশল দেখে বড়ই মর্মাহত হই। ভৈরবের একজন বিখ্যাত ব্যবসায়ীর সন্তান হয়েও আমি এই ‘বিজনেস সিক্রেট’ সর্ব সক্ষমে প্রকাশ করে আমার আত্মগ্লানির কিছুটা উপশম করতে চাই। ভৈরবের ইতিহাসে ‘গ্যাং কেস’ একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। কিন্তু কেউই এ সম্পর্কে কোন কিছু লেখন নাই। আমিও প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে কিছু লিখতে পারলাম না। এ কেসটির কৌতূহলোদ্দীপক ঘটনা হলো পাকিস্তান সরকারের সুপ্রীম কোর্ট একটি রায়ে এ কেসের অনেক আসামীর সাজা কমানো হয়, কাউকে খালাস করেও দেওয়া হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ রায় প্রকাশের আগেই কোন কোন আসামী মৃত্যুবরণ করে। রমজান আলী, চাঁন মিয়া জেলখানাতে মারা যান। ‘গল্পের বাকি অংশ জানার জন্য বইটি কিনুন’