“এপাড়ে পড়ে আছি আবহেলায় একা নিঃস্ব কলম হাতে সাঁতরে উঠে গড়ি তোমার বিশ্ব” কবির কলমের কী শক্তি! যে শক্তি বিশ্ব গড়ে দিতে পারে অবলীলায়! কবি ইতিহাসের প্রথম অক্ষরে বা সূচনাতে থেকে প্রাগৈতিহাসিক আদিমতাকে সঙ্গে নিয়ে প্রেম মহাকাল গড়তে চান। কবি মাহমুদ হোসেন পিন্টু প্রেমের পঙক্তিতে সিদ্ধহস্ত। উদার হৃদয়ে কারুকাজে আঁকেন নকশীকাঁথা। তেমনই সুঁই ফোড়ে বিদ্ধ ক’রে রক্তাক্ত রঙিন করেন বিরহ যন্ত্রণায়; হৃদয় নামক অনুভূতির সমুদ্রকে। আর দুঃখের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে স্বর্গকে মুঠোয় তুলে নেন। কবিরা এমন করেই বিলাস যাপনে সুখ পান। এভাবে বোধিবৃক্ষের তলে রাত্রি জাগা নদীর বাঁকে কবি যে অন্তহীন অপেক্ষা করেন, তা কবির কবিতার গভীরে তারও গভীরে এক একটা মেটাফরিক চিত্র নিপুণভাবে ধারিত হয়। কবি একটি শব্দের জন্য - সমস্ত সত্তাকে বিসর্জন দিয়ে এক পায়ে দাড়িয়ে থাকেন। আর সেই শব্দ ‘ভালোবাসা’ যখন উচ্চারিত হয়, তখন প্রচণ্ড বিস্ফোরণে প্রেমিক কবি বনে যান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্রাট সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রেমিক। কবি সত্তায় এমন বোধদয় সমস্ত মিথকে সমস্ত হীরের খনিকে চির ধরিয়ে দিতে বাধ্য। অর্ঘের যত ফুল কবির কবিতার বেদীতে জমা হয় সুঘ্রাণে। তাবত সৌন্দর্য নতজানু হয় বাউল কবির চোখের গভীর দৃষ্টিতে। খুলে যার যত বন্ধ কপাট। তখন কলম শুধু কাব্য বুনে যায়। প্রকৃতি বসন্তের রঙে আলিঙ্গনের শয্যায় সেজে ওঠে। সমস্ত গোলাপ কবির অধিকারে চলে আসে। কামরুল বাহার আরিফ