কবিতা কী? কেন মানুষ চিত্তবৃত্তির প্রবাহে নিজের অস্তিত্ব খুঁজতে কবিতার মাঝে জগত ও জীবনের আনন্দ-বিষাদের জলে ডুবে থাকে! কবিতার কোন চেহারা নেই কিন্তু পাঠে তার স্পর্শ আছে। কয়েকটি লাইন পড়তে পড়তে আমাদের ভিতরে স্পর্শবোধের রসায়ন নামে, তখন কবিতার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। কবিতা এমন এক শিল্প, তার অবস্থান সাহিত্য, সংগীত এবং ছবির বর্ডার লাইনে, তাই সে কয়েকটি দিকেই শিল্পের শাসন চালিয়ে যেতে পারে। রাকীব হাসানের শিল্প যাত্রা শুরু হয়েছিল আশির দশকে কবিতায়, কিন্তু নব্বুইয়ের একদম শুরুতে কেনিয়ায় গিয়ে শুরু করেন ছবি আঁকার নতুন জীবন! এক দশকের আফ্রিকা বাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে থিতু হন কানাডার মন্ট্রিয়লে। ছবির সাথে দীর্ঘ এই সংযোগ রাকীবকে কবিতা থেকে বিচ্ছিন্ন করেনি, বরং ছবির সাথে কবিতার নতুন এক সম্বন্ধ সৃষ্টি করেছে। তিন দশক রাকীব ছবির ভিতরে কবিতা কিংবা কবিতার মাঝে ছবির অনুসঙ্গ রাখতে কাজ করেছেন। ছবি এবং কবিতার ব্যাকরণ ভিন্ন, টেকনিক ভিন্ন, কবিতা শব্দে এবং ছবি রঙে মুদ্রিত। রাকীব ছবি নিয়ে অসংখ্য প্রদর্শনী করেছেন, কিন্ত তিন যুগ তার কবিতা দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও গ্রন্থ আকারে এই প্রথম পাঠকের কাছে মলাট বন্দী হলো।