সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা শৈশব হতেই। নতুন ক্লাসে নতুন বই হাতে পেলে নিমিষেই পড়ে ফেলতেন বাংলা বইটি। পড়ার টেবিলে পড়তে চাইতেন না, তার চেয়ে ছাদ কিংবা বারান্দায় পড়তেই বেশি পছন্দ করতেন। ছেলেবেলা থেকেই অনেক কাছ থেকে দেখেছেন দেশের গুণি কবি সাহিত্যিকদের। সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসার বোধ ওখান থেকেই শুরু। লেখালিখির চর্চাটাও শুরু করেন স্কুলজীবন থেকে। শ্বেত শুভ্র কাগজ আর কলম তাকে শব্দ নির্মাণের জন্য নিরন্তর ডাকে। ফলে ছন্দা যখন তখন কবিতার পর কবিতা আর গল্পের হাত ধরে নন্দন তাত্ত্বিক কাশবন পেরিয়ে বিদর্ভ নগরে যেতে পারেন যখন তখন। তার লেখাতে যেমন ছোট ছোট দুঃখবোধ লুকিয়ে থাকে তেমনি থাকে সুখের দীঘল উপাখ্যান। থাকে প্রেম ভালোবাসা, স্বদেশ, বিল্পব, বিদ্রোহ, নারীকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। 'সাগর পাড়ে নন্দিনী' তার চতুর্থ গ্রন্থ। মোট চারটি গল্প এই গন্থে স্থান পেয়েছে। গল্পগুলো হলো- সাগর পাড়ে নন্দিনী, এক কাপ চা, বই মেলা মিলন মেলা, আরো দাও প্রাণ। সবগুলো গল্প পাঠক প্রিয়তা পাবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস। ইতিপূর্বে বিদ্যাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তিনটি কাব্যগ্রন্থ 'হৃদয় জুড়ে শঙ্কচিল', 'উড়ে যায় মেঘ মালা' এবং 'বাতাসে খুঁজি ভালোবাসার ঘ্রাণ'। গল্পে কাব্যে বেঁচে থাকতে চায় ছন্দা। সাহিত্যের স্বপ্নঘোরের উৎসভূমে জেগে থাকতে চান। নির্মান করতে চান শব্দশৈলীর এক জাদুকরী ভায়োলিন।