ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি সাধারণ নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে শুধুমাত্র স্বপ্ন আর কিছুটা সাহস সম্বল করে লেখাপড়া করতে এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে। সম্পূর্ণ অপরিচিত পরিবেশ, বৈরি হাওয়া, দুর্বোধ্য ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে পদে পদে ঠেকে ঠেকে তাকে করে নিতে হয়েছে নিজের পথ নিজের জায়গা।
‘ইয়ারার তীরে মেলবোর্ন’ একজন বাংলাদেশী ছাত্রের প্রথম প্রবাসের বাস্তব অভিজ্ঞতার রেখাচিত্র যেখানে ব্যক্তিগত অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার পাশাপাশি উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার নৃতাত্ত্বিক, ভৌগলিক ও সামাজিক ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়ান পরিবারের সাথে বাস করে লেখক প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের নাগরিক ও পারিবারিক সংস্কৃতি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে পেড়াশোনা ও গবেষণা করার সুবাদ লেখক কাছ থেকে দেখেছেন সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান চর্চার সংস্কৃতি। ইয়ারার তীরে মেলবোর্ন এ বর্ণিত ঘটনাগুলো লেখকের ব্যক্তিগত জীবন-যাপন থেকে উঠে এলেও তা প্রতিনিধিত্ব করে যে কোন বাংলাদেশী প্রবাসী শিক্ষার্থীর-বিদেশ বিভুঁই এ যাদের একাকী সংগ্রাম করতে হয়, শুরুতে মাথা গোঁজার জন্য, পরে মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্য।