মুস্তাফিজ শফি নব্বই দশকের কবি। সক্রিয় রয়েছেন কথা সাহিত্যসহ নানামাত্রিক লেখালেখিতে। পেশায় সাংবাদিক। জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকতায় তাঁর সময়ের মেধাবী তরুণদের একজন। এখন জাতীয় দৈনিকের অগ্রগণ্য সম্পাদক। জন্ম ১৯৭১ সালের ২০ জানুয়ারি, সিলেটের বিয়ানীবাজারে। লেখালেখির শুরুও সেখান থেকেই। 'পড় তোমার প্রেমিকার নামে' দিয়ে শুরু। তারপর 'দহনের রাত', 'মধ্যবিত্ত কবিতাগুচ্ছ', 'কবির বিষন্ন বান্ধবীরা', 'মায়া মেঘনির্জনতা' কিংবা 'ব্যক্তিগত রোদ এবং অন্যান্য' আঙ্গিক ভিন্ন হলেও নব্বই দশকের কবি মুস্তাফিজ শফির কবিতার গতিমুখ কিন্তু একই। কিছুটা ঘোর, কিছুটা আড়াল তাঁর কবিতায় স্পষ্ট। পাঠক পড়তে পড়তে জড়িয়ে যান অন্য এক মায়ায়, ভিন্ন এক নস্টালজিক অনুভূতিতে। মনের আকাশে ঘনিয়ে আসে বেদনার ভার, ছড়িয়ে পড়ে এক হৃদয় থেকে অন্য হৃদয়ে। জাতীয় পত্রিকায় সম্পাদকের ব্যস্ততম দায়িত্ব পালন আর কোলাহল মুখর নাগরিক বাস্তবতায় বসবাস করেও তিনি নির্জনতার কথা বলেন, হাহাকার ও বিষণ্ণতার কথা বলেন। উচ্চস্বর নয়, অনেকটা নিজের মতোই নিচুস্বরে, প্রায় চুপচাপ, নিভৃত, বিনীত ভঙ্গিমায় কবিতারসুর আর নিজস্ব ভাষা তৈরি করেন তিনি। শুধু দৃশ্য নয়, চিত্রকল্প নয়, প্রতীক নয়-তার কবিতায় আখ্যান তৈরির প্রবণতাও স্পষ্টভাবে লক্ষণীয়। এখানেই তিনি স্বকীয়। মহৎ বেদনাবোধ না-থাকলে, মনের ভেতর হাহাকার না-থাকলে সৃষ্টি হয় না মহৎ কবিতা, কিংবা সুর। মন যদি কেমন না-করে, তবে কীসের প্রেম? মুস্তাফিজ শফি তাঁর নিঃসঙ্গ বেহালার তারে সেই মন কেমন করা হাহাকারটাই বাজিয়ে চলেন। আলোচিত এই বইয়ে মলাটবন্দী হয়েছে তার একগুচ্ছ নির্বাচিত প্রেমের কবিতা। মায়াময় এই কবিতাগুলো আরেকবার পাঠক হৃদয়ে দাগ কাটবে এটা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। আলোকচিত্র: সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু
লেখালেখি শুরু নব্বইয়ের দশকে কবিতা দিয়ে। সক্রিয় রয়েছেন সাহিত্যের নানা মাধ্যমে। সাংবাদিক হিসেবে এক নামে পরিচিত। দৈনিক সমকালের নির্বাহী সম্পাদক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা চৌদ্দ। তার সাংবাদিকতা বিষয়ক বই পড়ানো হয় বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে। ১৯৭১ সালের ২০ জানুয়ারি সিলেটের বিয়ানীবাজারে জন্ম। লেখালেখির শুরুও সেখান থেকেই। পৈতৃক বাড়ি লাউতা ইউনিয়নের আষ্টসাঙ্গন গ্রামে। ওই অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম সফিক উদ্দিন আহমদ তার বাবা। মা মরহুমা জয়গুন নেসা। ছয় ভাইবোনের মধ্যে পঞ্চম। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। স্ত্রী নূরজাহান আক্তার। দুই সন্তান- রূপকথা ও ঋদ্ধ । প্রকৃতির সঙ্গে থাকা, বাগান করা ও চিত্রকর্ম সংগ্রহ তার অন্যতম শখ। ভালবাসেন আড্ডা দিতে। সময় পেলে মাঝে মাঝে ছবিও আঁকেন।