ফ্ল্যাপে লিখা কথা মাথা নিচু করে চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মতি। কাদির মেম্বার মতিকে আবার উচ্চস্বরে জিজ্ঞেস করলো -ক’ মতি তোর মা কই গেছে? কইতে কী শরম লাগে? এত চাপাচাপির পর মতি নিম্নস্বরে উত্তর করলো আমি জানি না মা কই গেছে। কাদির মেম্বার আবার উপস্থিত মানুষজনকে উদ্দেশ্য করে বললো বল আমরা চইল্যা যাই। নষ্ট.......... পলাইছে। দেশে পাপ দেখা দিয়েছে। চল আমরা যাইগা। কথাগুলো বলে কাদির মেম্বার, মন্নান মোল্লা ও উপস্থিক সকল মানুষকে নিয়ে খুব ক্রোদের সাথে মতিদের বাড়ি ত্যাগ করে চলে গেছে। এখন মতি বাড়িতে একা । মতি খুব চিন্তা করছে তার মাকে নিয়ে। সে ভাবছে তার মা আতরবানু একি কাজ করেছে? সর্বনেশে কাজ। এখন মতি কি করবে? শুধু ভাবছেই ভাবছে।
লেখকের কথা পৃথিবীতের যখন মানুষের প্রথম পদচারণা শুরু হয়। তখন থেকে শুরু হয় মানুষের ক্ষুধার চরম যন্ত্রণা। মানুষ ছুটে বেড়িয়ৈছে বনজঙ্গলে ফল, ফসল,আহরণ , পশুপপাখি শিকার ও নদীতে মৎস শিকার করে তাদের ক্ষুধা নিবারণ করতে। এ কাজটি যে মানুষেরা করেছেন তারা হচ্ছেন কৃষক। তখন থেকে এ কৃষক সম্প্রদায়ই নিজের এবং অপর তথা সমগ্র মানব জাতির ক্ষুধা নিবারণের জন্য হালচাষ করে অন্য যুগিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এখনও রাখছেন ভবিষ্যতে ও রাখবেন। কৃষক যদি কখনও তার নিজস্ব প্রয়োজনেরও অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন না করবে। তখন পৃথিবীর সমস্ত সভ্য সম্প্রদায অনাহার ধ্বংস হয়ে যাবে এবং সকল সভ্য সম্প্রদায়কেই বাঁচার তাগিদে কৃষি কাজ করতে হবে। কৃষকই হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের শ্রেষ্ঠতম সভ্য সম্প্রদায়। কিন্তু এসভ্য সম্প্রদায়ই প্রতিনিয়ত ঘৃণিত নিপীড়ন ও নিগৃহীত হচ্ছে। এ উপন্যাসটিতে সভ্যতার প্রতীক কৃষক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারি একটি পরিবারের মাধ্যমে কৃষক সমাজের বাস্তবতা এবং একটি কৃত্রিম প্রেম প্রণয় কাহিনীর মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে কৃষকের উদারতা ও মহত্বের চিত্র।