১। “হুমায়ুনের এক রাত”br বিকট শব্দে বাজ পড়ে সব কালিগোলা অন্ধকারে ঢেকে গেছে। এক সময়ের ডাকসাইটে অভিনেতা আহমেদ হুমায়ুন জীবনে কুখ্যাত সব হরর সিনেমায় অভিনয় করে নাম কুড়িয়েছিল দেশ জুড়ে। নিশ্ছিদ্র এই আঁধারে হুমায়ুনের চারপাশে ফিসফিস করছে কারা? চলচিত্রের নারকীয় চরিত্রগুলোই কি আজ এই ঝড়ের রাতে হানা দিলো? নাকি অতীত এসেছে অতিথি হয়ে? সিঁড়িতে, সিঁড়িতে ওটা কী? br ২। “ফেরারি”br কলম ধরার বয়সে হাতে অস্ত্র ধরেছিল শামস কোহিনুর, নিজের বাপই তুলে দিয়েছিল। আন্ডারওয়ার্ল্ড ক্রাইম জগতে সুনাম কিনেছিল বাপ-ব্যাটা। কিন্তু পাশার দান উলটে গেলে কী হয়, জানেন তো? শিকারী বনে যায় শিকার। যুক্তরাস্ট্র থেকে মন্টেনেগ্রো, পেছনে ইউনিয়ন ক্রস, কিন্তু গোস্ট কার পক্ষ নিল? br ৩। “নক্ষত্রের মতো একা”br অ্যান্টার্কটিকায় মাউন্ট জেলিতে পাওয়া দেহখানা কার? ড. রোমান্সের? বিপুল এই বরফরাজ্য দুনিয়ার সৃষ্টিলগ্ন থেকে কী এমন লুকিয়ে রেখেছে? শ্যাকেল্টন থেকে শুরু করে হালের সায়েন্টিস্ট হিলিয়াম ফ্রস্ট, করসের টানে? কীসের মোহে ছুটে আসে শুধু এই অ্যান্টার্কটিকাতেই? ঈশ্বর কী এখানে? br ৪। “আমায় ডেকো না”br খসরু কে মনে আছে? সেই যে জাদুকর খসরু, প্রাচীন সব জাদুবিদ্যা চর্চা করে অন্ধকার জগতের অনেক ক্ষমতা অর্জন করেছিল? শীতের রাত, শেষ ট্রেন, জবুথবু হয়ে চারজন যাত্রী বসেছে মুখোমুখি। চামড়ায় বাঁধানো মলিন ডায়ারি থেকে আবোল-তাবোল এসব কীসের শ্লোক পড়ছে খসরু? কুয়াশায় হারিয়ে গিয়ে কাদের দেখা পেল কোহিনু? তাহলে কি আমাদের জগতের সমান্তরাল আরও একটা জগৎ আছে? br ৫। “কালোডাক”br সফল একজন পুরুষ। সুন্দরী স্ত্রী, অর্থসম্পদ, খ্যাতি, কী নেই তার! ভালোই তো চলছিল। এদিকে ঢাকা শহরের বুকেই ঘুরে বেড়ায় রহস্যময় এক যুবক। আপনার আমার পাশ দিয়েই হেঁটে যায়। তাকে লোকে কারিগর নামে চেনে। কীসের কারিগর? সফল ও প্রতিষ্ঠিত একজন পুরুষকে কেন কারিগরের আশ্রয় নিতে হলো? তাহলে কী... br ৬। “প্রেমিকার রক্ত চাই”br ৪৮ ঘণ্টার কাছাকাছি মাটির তলায় চাপা পড়ে রইল শাহেদ। কবর দেওয়া হয়েছে ওকে। নিজের সমস্ত অস্তিত্ব দিয়ে যাকে ভালোবেসেছে সেই নারীই করেছে এই কাজ। পোকায় খেয়ে ফেলেছে বুক আর পায়ের পাতার কিছু অংশ, উপরের ঠোঁট। হলুদ আর ফ্যাকাশে হাতের চামড়া ঝুলে পড়েছে। কুয়াশা ঢাকা ডিসেম্বরের ঝড়ো রাত, গুলশানের ফাঁকা রাস্তা। এক অদম্য অনুপ্রেরণার নাম প্রতিশোধ।
আরমান কবির; পেশায় ইংরেজি ভাষার একজন প্রভাষক ও প্রশিক্ষক। অনুবাদ সাহিত্যের মাধ্যমে লেখালেখির শুরু। অনূদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ইন্সটিংক্ট, রং প্লেস রং টাইম, আগাথা ক্রিস্টির সিটাফোর্ড মিস্ট্রি ইত্যাদি। পাশাপাশি লিখেছেন অসংখ্য ছোটোগল্প। কিছু প্রকাশিত হয়েছে রহস্যপত্রিকায়। কিছু রয়েছে আর্কাইভে। আর তার মধ্য থেকে বাছাই করা কিছু চলে এলো এই সংকলনে। প্রিয় লেখকদের তালিকায় আছেন সিডনি শেলডন, জেমস হ্যাডলি চেজ, এডগার এলান পো, রস ম্যাকডোনাল্ড, খুশবন্ত সিং প্রমুখ। দেশি লেখকদের মধ্যে কাজী আনোয়ার হোসেন, শেখ আব্দুল হাকিম ও খসরু চৌধুরী। তবে লেখালেখির পেছনে হুমায়ূন আহমেদের ভূমিকা আছে বলে মনে হয়। লেখক এক সময় আন্ডারগ্রাউন্ড মেটাল মিউজিক সিনের সাথে যুক্ত ছিলেন। বাদ্যযন্ত্রের প্রতি তাঁর আগ্রহ আছে। আর আছে সিনেমা দেখার বাতিক। অন্যান্য অপ্রকাশিত বই-বোকার স্বর্গ, রেড (সংকলন), গ্রিন (সংকলন), মৃত্যুর কারিগর, চোখের বদলে চোখ ইত্যাদি।