অক্টোপা বন্ধুরা শিশু কিশোর উপন্যাস। একদিন এক শুভানুধ্যায়ী বললেন, সাকী খুব ভালো লেখে; ওর লেখার থিমগুলো খুব সুন্দর। আগন্তুক অবাক বিস্ময়ে ওকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কখনও কোনো লেখককে কাছ থেকে দেখেছে ? মেয়ে আমার মুচকি হেসে আমাকে দেখিয়ে বললো, “আম্মুকেই তো দেখেছি। আম্মুই তো কত্তো বড় লেখক আর কবি, আপনি জানেন না!” সেই মেয়ে তার এত্তোবড় লেখক মাকে কলম উপহার দিয়েছে। এ যেনো এক অন্যরকম উপলব্ধি। ছোটবেলায় কচিকাঁচার আসরে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের কাছে চিঠি লিখতাম, উত্তরসহ সে চিঠি আবার প্রকাশ হতো ইত্তেফাকে। পেপার হাতে নিয়েই আব্বা যতœ করে আমার নাম-ঠিকানা আর দাদাভাইয়ের উত্তর মার্কার পেন দিয়ে বর্ডার করে রাখতেন, তারপর আমাকে ডেকে বলতেন, “দেখতো আঁখি, এটা তোর নাম কি’না?”। সেদিনগুলো কি যে আনন্দ হতো! আজ এতোগুলো বছর পরেও বর্ডার করা সেই ছোট্ট স্পেস, আব্বার হাসিমাখা মুখ, সারকারখানার বাসার সেই কাঁচাসোনা রোদ, আমার সত্তার কোথায় যেনো ঢেউ তোলে। বিকালে বাসায় আম্মার জ্ঞাতিভাই এসে পেপার দেখে বিজ্ঞের মতো বলেন, “লিখে যাও, একদিন অনেক বড় লেখিকা হবে।”। এই উপন্যাসে আমি আমার জীবনের অংশ ও অসাধারণ কিছু গল্পের সমন্বিত প্রয়াস ঘটিয়েছি। আশা করছি পাঠকের ভালো লাগবে। - ফেরদৌসী আখতার আঁখি নিউ ইস্কাটন, রমনা, ঢাকা।