প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার প্রগাঢ় রসায়ন 'সূর্যফুলের রৌদ্রঘ্রাণ'। বিন্দু থেকে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া অনুভূতি স্ফুলিঙ্গ, বাতাসের ডাকঘরে পোস্ট করা সশব্দ চুম্বনের স্বরলিপি আর বাসনার প্রদীপ্ত প্রকাশে গ্রন্থটি অনন্য হয়ে উঠেছে। কবি নির্দ্বিধায় বলতে পারে অবেলায় ফুটে থাকা নিমফুল আমাকে দেবে? বাগিচায় ফলে থাকা তুচ্ছ ফল? কড়ইয়ের ডগা থেকে ঝরে পড়া অন্ধকার ছুঁয়ে বলবে, এই দেখো অমল সঞ্জীবনী তোমার সৃজনস্পর্শে দিকে দিকে সবুজ ফসল... প্রণয় বাসনা প্রকাশে কবি সংযত ও সংহত। রূপক-প্রতীক-সাংকেতিক আবহে তিনি খোঁজেন ত্রিলোকের সেই কাঙ্ক্ষিত প্রবেশপথ, যেখানে রূপনদী আর নগরপোড়া আগুন যুগপৎ বয়ে চলে। দূরতমার নির্ভুল পদচিহ্ন লক্ষ করে কবি প্রার্থিত মঞ্জিলে পৌঁছাতে চান। কিন্তু খুনঝরা ফুলের আর্তনাদ আর অবজ্ঞার থু থু ভরা ঘুমের উপত্যকায় কবি আকাশের দূরত্ব হতে কেবলই নিম্নগামী। তবু তিনি উষর ভূমিতে অনুসন্ধান করেন মরুর সম্ভাব্য কুয়োতলা; জলের ভেতর অন্য এক আগুন খুঁজে খুঁজে দেখেন মৎস্যগন্ধী প্রাচীন পাথর, টের পান জাগতিক চিহ্নের মাঝে হারিয়ে যাওয়া মহাবৈশ্বিক সমূহ ইঙ্গিত। তাই অকালবোধনের মরীচিকা সরিয়ে আগুনের খুব কাছে বসে ছুঁয়ে দিতে চান প্রার্থিতার অনন্বয়ী আঙুল।
কবি কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক আহমেদ বাসার এর জন্ম ৪ জুন ১৯৮২ সালে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামে। পিতা আবদুল হাই ও মাতা আসমা খাতুন। সহধর্মিণী সানজিদা আক্তার ইমু। দুই কন্যা ওয়াসিয়া তাজনূর বারিষা ও ওয়াসফিয়া নাজরীন এষা। বিজবাগ এন. এ কলেজ থেকে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়য়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। শামসুর রাহমানের কবিতা নিয়ে গবেষণা করে এম,ফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন ২০১২ সালে। রাজউক ইত্তরা মডেল কলেজের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনায় নিয়োজিত। ছোটবেলা তেকেই লেখালিখির সূচনা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিক, সাহিত্যপত্র ও ছোটকাগজে নিয়মিত লেখেন। প্রকাশিত গ্রন্থ দশটি।