“দ্য সিক্রেট টু পজিটিভ থিংকিং”: অনুবাদ: জিয়াউদ্দীন শিহাব মানুষের মনে পজিটিভ চিন্তা বা সৃজনমূলক চিন্তা কিংবা গঠনমূলক চিন্তা এমনিতেই চলে আসে না। বাস্তবে, আমরা প্রায় প্রত্যেকেই যে বিষয়টার সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ করতে হয় তাহল আমাদের মাথায় ভেসে ওঠা বিভিন্ন নেতিবাচক বা পিছুটানের চিন্তা। যা ঘটে গেছে তা নিয়ে আমরা বেজায় দুশ্চিন্তা করি। আর ভাবি যে ভুলটা হয়ে গেল তার জন্য আসলে কে দায়ী। প্রথমেই ধরে নিই বিষয়টাই আদতে বেখাপ্পা ছিল কিংবা হয়ত এতে অন্যদের হাত ছিল কিন্তু নিজে কোনোভাবে দায়ী কিনা তা মোটেও ভাবতে চাই না। নিজেকেই জিজ্ঞেস করে দেখ তুমি অন্যদের মতই হতে চাও কিনা। যারা নেতিবাচক চিন্তা করে থাকে তারা সর্বদা ঘটে যাওয়া ভুলের জন্য অন্যদের দোষ দেয়। এভাবে নেতিবাচক চিন্তা করতে করতে তারা তাদের সম্ভবনার সুযোগগুলো নষ্ট করে দেয়। আমি নিশ্চিত, তুমি কখনই ও রকম ভাবনার মানুষ হতে চাও না। তাই বলছি, কখনই তাদের মত হতে যেও না! নেতিবাচক মনোভাবকে ইতিবাচক মনোভাবে পরিণত করতে চাইলে তোমাকে সচেতনভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কেবল চেষ্টা শুরু করলেই এর পুরোটা অর্জন করা যাবে এমন নয়, তবে দীর্ঘ সময় ও পরিমিত অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে অনেকটাই আয়ত্বে চলে আসবে। যদি তুমি নিজেকে আরও বেশি ইতিবাচক ব্যক্তিতে পরিণত করতে চাও, চিন্তার ধরনকে বদলাতে চাও তাহলে বলতেই হবে তুমি ভাগ্যবান। আর এ বইটি ঠিক তোমাকে সাহায্য করার জন্যই লেখা হয়েছে। বইটি পড়ে ইতিবাচক চিন্তার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবে, আর নিজের মঙ্গলের জন্য কেনই বা নেতিবাচক ভাবনাকে বিসর্জন দিব না তা বইটি বলে দেবে। তুমি জানতে পারবে নেতিবাচক মানুষের সঙ্গে সুখি ও সৃজনশীল মানুষের পার্থক্য কোথায়। আরও জানবে ইতিবাচক মানুষেরা কেন পরিশেষে জীবনে সাফল্য লাভ করে আর নেতিবাচকেরা তাদের স্বপ্ন অর্জনে ব্যর্থ হয়। বইটি তোমাকে একজন ইতিবাচক ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার উপযোগী করে সাজানো হয়েছে। তোমার ইতিবাচক চিন্তায় সাড়া দিয়ে তোমার পরিপার্শ্বের কিছু মানুষ এগিয়ে আসবে আর তারাও তোমার দ্বারা উপকৃত হবে। সকলের মাঝে একজন না হয়ে বিশিষ্টজন হয়ে ওঠ। যখন তুমি ইতিবাচক চিন্তার শিরোমণি হতে পারবে, তোমার শেষটা হবে সুখের আর পরিপূর্ণতার, যা কখনও ভাবতে পারনি আগে