একদিন হঠাৎ পেছন থেকে মেয়েলি কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল— কেমন আছিস? এটি সেই কণ্ঠ, যে কণ্ঠ শুনলে প্রচণ্ড গরমেও শরীরে হিমেল হওয়া বয়ে যেত। আমি বুঝলাম, এটা সুমির কণ্ঠ। তার দিকে না তাকিয়েই উত্তর দিলাম— আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। পালটা কোনো প্রশ্ন করলাম না। প্রায় এক বছর পর আবার কথা হলো। নন্দনপার্কে সেই যে কথা থেমে ছিল, আর কথা হয়নি। কারণ, তার এবং আমার মাঝে ইসলাম চলে এসেছিল। আমাদের জীবন পথচলা পথিকের ন্যায়। অনেকে বলে পথিকের কোনো গন্তব্য নেই, কিন্তু একজন মুসলিম পথিকের নির্দিষ্ট একটি গন্তব্য আছে। আর সে গন্তব্য হলো জান্নাত। এই স্বার্থপর দুনিয়াতে একজন মুসলিম পথিকের পথচলা সহজ হয়ে ওঠে না। জীবনে আসে অনেক বাধা-বিপত্তি। শয়তানের ধোঁকা, নফসের খাহেশাত, পরিবেশ এবং অভ্যাসের ধোঁকা যেন চারিদিক থেকে পথিকের পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখে। এ কয়টি বিষয়ের সাথে পথিকের সাক্ষাৎ হতেই থাকে। তাই তার পথচলায় সাবধানে পা ফেলতে হয়। দ্বীনের পথে চলার ক্ষেত্রে একজন পথিকের মুরুব্বী আলেম-উলামাদের মেনে চলা জরুরি। অন্যথায় দ্বীন মনে করে বেদ্বীনী কাজে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। দ্বীনের পথিকেরা সরল পথে হাঁটতে চায়, শান্তির পথের সন্ধানে তারা সুখী থাকে। এই সুখ শুধুমাত্র অন্য এক দ্বীনের পথিকই বুঝতে পারেন। . বইটিতে একজন দ্বীনী পথিকের পথচলায় বাধা-বিপত্তি নামের কাঁটাগুলোকে উপড়ে ফেলে সঠিক পথে চলার সন্ধান দেওয়ার প্রয়াস চালানো হয়েছে।