কবি সারাজীবনে ওনিজের কাছে সত্যিই ‘কবি’ হয়ে উঠতে পারে!সামান্য একটা মটরশুঁটি লতায়ও সে মুগ্ধ হতে চায়,হয়তো ক্ষণিক আগেই কোনো গ্রাম্য কিশোরীর আঙুলের ছেঁায়ায় সে কাঁপছিল তখনও! মনে মনে কখন যে একজন মানুষ কবি হয়ে ওঠে সে ব্যাখ্যা কোনো নিবন্ধে বোধ করি আজও কেউ লেখেনি, কেননা লিখতে বসে কেউ কবি হতে পারে না, একটা তরঙ্গায়িত বাতাস, কিছু অস্থির বিকেল, কোনো গাঢ় খয়েরি সন্ধ্যে হয়তো তাকে লিখতে বসিয়েছে... কবি হয়তো কখনও আকাশের পাখি’কে, আর কখনও মাটির ফুলকে চেয়ে তাঁর প্রাণসুসুম ভাবতে চেয়েছে ‘সুপ্রিয় অন্তর্লোকদর্শিনী,আমার কথা আর শব্দের ঘ্রাণে যে মধুপিয়াসী প্রাণপ্রতিমা এমন সুরের গুঞ্জনে মুখরিত হতে পারে, এত বহু সুদূরের আত্মীয়তায় তাকে আমি যেন খুব কাছ থেকে দেখেছি, আত্মার কাছে পেয়েছি! যে কোমল ‘পারিজাত হিয়া’ কৃষ্ণ—মৃত্তিকার অবগুণ্ঠনে সূর্যকরোজ্জ্বল হিরণ্ময়ীর সন্ধান পেয়েছে,শুধু সেই ‘প্রাণপ্রতিমা’ এমন স্বপন গহন অতল শব্দের ঘ্রাণে সর্বহারা সামান্য'কে হৃদয় অলিন্দে মহাকালের জন্যে আপন করে নিতে পারবে শাশ্বতই, এই নৈবদ্য এই শ্রদ্ধার্ঘ্য যেন অতলস্পর্শী মমতার, বড় মনোরম অতি সাধনার এ যেন বহু শতাব্দীর সঞ্চিত প্রেমকিঞ্জল যার স্পর্শে বিকশিত হবে স্বতঃআকাক্সিক্ষত অদৃষ্টপূর্ব স্বর্গোদ্যান প্রিয় হে ‘পারিজাত কুসুম কুমারী’, সকল তোমার ছন্দিত পল্লব সুরভিতে ধরিত্রীর নিযুত করুণ প্রাণেরএই ক্ষণিকের জনমও মুহূর্তের জীবন—স্পন্দন পূতপবিত্র হোক।