অনেক কষ্টে শেষ পর্যন্ত বিমানের টিকেট কনফার্ম করাতে পেরেছে কুতুব। মতিঝিল বিমান অফিস হতে বেরিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটার কাজ গুলিস্তানের মোড় হতে সেরে নেয়। আগামীকাল ফ্লাইট সকাল এগারোটায়। সবকিছু গুছিয়ে নিতে হবে সময় থাকতে। বিদেশ ভ্রমণ এই তার প্রথম নয়। দশবছর পূর্বে এমনি ওমরাহ ভিসা নিয়ে জেদ্দার পথে পাড়ি জমিয়েছিল সে। তখনকার সময়ই ছিল আলাদা। ওমরাহ ভিসা পেতে কোন সমস্যাই ছিল না, অথচ আজকাল ভিসা পেতে হলে দুর্ভোগের অন্ত নেই। ঢাকাস্থ সৌদি অ্যামব্যাসি কর্তৃপক্ষ ওমরাহ ভিসা দিতে নানারূপ টালবাহানা করে। নুরহানাকে সে কথা দিয়ে এসেছিল দু-তিন মাসের ভেতরই নতুন ভিসা নিয়ে এসে পড়বে, সেখানে দেখতে দেখতে একবছর গড়িয়ে গেল। চেষ্টার ত্রুটি করেনি সে। একা নূরহানারই নয়, অপেক্ষার কষ্ট তারও তো কম হয়নি। বায়তুল মোকাররম হতে নুরহানার ফরমায়েস অনুযায়ী সুন্দর দুটো প্রিন্টের শাড়ি ও আনুষঙ্গিক জিনিষ কেনে রিক্সায় চেপে বসে কুতুব। রহমান চাচার খিলগাঁওয়ের বাসায় আছে সে। বাবার ফুফাতো ভাই সমবয়সী রহমান চাচা সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার। গত বছর সৌদি হতে ফিরে তাঁর বাসায়ই উঠেছিল সে। বাসায় পৌঁছে কলিং বেলে টিপ দিতেই রহমান চাচা দরজা খুলতে খুলতে বলেন, এত দেরি কেনরে? কিছু হল? হাতের দিকে চেয়ে বলেন, কিছু একটা না হলে এত খরচই বা করবি কেন? তোর নামে সৌদি হতে আজ একটি চিঠি এসেছে, খুব সম্ভবত গতটার মতই আরবিতে লেখা হবে। নে খুলে দেখ..।