নাম দেখে মনে হতে পারে, বইটা বুঝি ভূতের গল্পের। না, কেবল ভূতের গল্প নয়, ভূতের গল্পের সাথে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আরো বেশ কিছু গল্প নিয়ে এ বই। বইটা পড়া শুরুর আগে চলো জেনে নিই কেমন সে গল্পগুলো। একটা ভূত পথ হারিয়ে ফেলেছে, কিছুতেই পথ চিনতে পারছে না। সন্ধ্যাও নেমে আসছে, ভূতটা আবার রাতকানা! এসময় পথহারা ভূতটা পেলো রাজুর দেখা... রিদার খুব ইচ্ছে চাঁদের বুড়ির বাড়ি যাবে, গল্প করবে চাঁদের বুড়ির সাথে। কিন্তু কীভাবে সে যাবে চাঁদের বুড়ির বাড়ি? স্কুল ম্যাগাজিনের জন্য ভয়ঙ্কর একটা ভূতের গল্প লিখতে চেয়েছিলো রাজু। কিন্তু হয়ে গেলো অদ্ভুত এক ভূতের গল্প! ধরো, তোমার খেলার কোনো সঙ্গী নেই! কেমন একলা লাগবে তোমার? তোমার পোষা বিড়াল মিউকে যদি আম্মু একেবারেই পছন্দ না করে, দূরে ফেলে দিয়ে আসতে চায়, কী করবে তুমি? লুকোচুরি? কেবল হাঁটতে শেখা রিদা জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে পুরো পাড়াকে ডাকে চিৎকার করে করে। জানালার ওপাশে গাছের ডালে থাকে দুটো কাকের ছানা। রিদা ছানাগুলোকে দেখে, ছানাগুলো রিদাকে দেখে। একদিন তারা একসাথে ডাকে, কাক্কা! কাক্কা! একটা পাখি ধরে ফেলে আবির, ছোট্ট একটা বাবুইপাখি। পাখিটাকে হাতে নিয়ে বিচিত্র অনুভূতি টের পায় আবির। হাতের মুঠোয় পাখিটাকে দেখে আবিরের ছোট্ট বোন মিমি আহ্লাদে গদগদ হয়ে যায়, ওমা, কী কাণ্ড! বাবার আঁকা ভূতটা যখন রাতের বেলা পিঠে টোকা দিয়ে ঘুম ভাঙিয়ে ভয় দেখাতে চায়, তখন কি তোমার খুব রাগ হবে না? ইচ্ছে করবে না ভূতটার সবগুলো দাঁত ফেলে দিয়ে তাকে ফোকলা বানিয়ে দিতে? বিশ্বের কোনো ম্যাজিশিয়ান যে ম্যাজিক এখন পর্যন্ত দেখাতে পারেনি, স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাজু এমন একটা ম্যাজিক দেখাবে, ভুতুড়ে ম্যাজিক...
"মূলত গল্পকার ও শিশুসাহিত্যিক। পাশাপাশি অনুবাদ করেন বিশ্বসাহিত্যের পছন্দের গল্পগুলো। জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮; রাজশাহী। ২০১০ সালে প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ঘন অন্ধকারের খোঁজে’ এবং ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘ঘি দেয়া গরম ভাত আর চিতল মাছের পেটি’। মাঝে ২০১৩ সালে কিশোর গল্পগ্রন্থ ‘মগডাল বাহাদুর’ প্রকাশিত হয়। লিখেছেন কিশোর উপন্যাস ‘লাবুদের দস্যিপনা’। প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর সম্পন্নের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষায়। জীবিকা অন্বেষণের স্রোতে ব্যস্তজীবন পেরিয়ে সাহিত্যপাঠের ফাঁকে ফাঁকে লিখেন খুব অল্পই। জীবনটাকে যেভাবে দেখেন, আগামীর সময় নিয়ে যা ভাবেন এবং অনুভূতিগুলো যেভাবে অনুভব করেন—লেখায় তা প্রকাশ করতে চেষ্টা করেন সবটুকু দিয়ে। শিশু-কিশোরদের জন্য লিখতে ভালোবাসেন, বিশেষ করে দুরন্তপনার গল্পগুলো। লেখকের কৈশোর জীবন তুমুল দুরন্তপনায় কেটেছে এমনটা নয়, তবু বেশ রঙিন এক কৈশোর কাটিয়েছেন মফস্বল শহরে। রঙিন সে জীবনে ফিরে যাবার সুযোগ না থাকায় খুব আফসোস হয়। এ আফসোস ঘোচাতেই লেখার মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে ফিরিয়ে নিয়ে যান কৈশোরে আর দুরন্তপনায় মেতে ওঠেন ইচ্ছেমতো। প্রত্যাশা এতটুকুই, লেখাগুলো কেবল যথাযথ পাঠকের নাগালে পৌঁছে যাক, কিছু যথাযথ পাঠক সঙ্গী হোক লেখার এ দুরন্ত জীবনে।"