বসন্তদূত মূলত ভ্রমণ লেখক। কখনও কখনও গল্প লিখে থাকেন; চেষ্টা করেছেন উপন্যাস লিখতেও। তবে জীবনকে দেখেছেন খুব গভীরভাবে। সরকারি চাকুরি করেছেন। কর্মক্ষেত্রে রেখেছেন দায়িত্বশীল ভূমিকা। ছুটে বেরিয়েছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। কলম ছিল সবসময়ই সক্রিয়। লিখেছেন বিরামহীন স্থান-দিন-মাস-তারিখ উল্লেখ করে। বোঝা যায় তাতে সময়কে ধরে রাখার এক নিরন্তর প্রয়াস। আমাদের মানবজীবন দ্বিমুখী। কখনও ভীষণ যাতনাময়, কখনওবা ভীষণ আনন্দময়। সবাই আনন্দময় সময়টাকেই জীবনের বালুকাবেলা থেকে কুড়িয়ে আনতে চায়। শৈশব থেকেই শিল্প সাহিত্যের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। জীবনের রূপ-রস-গন্ধে আকৃষ্ট হয়েছেন। প্রায় প্রতিটি কবিতায় প্রকৃতি, জীবন, সামাজিক নানা অসঙ্গতিও তুলে ধরেছেন। কবিতার পঙ্ক্তির প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে আছে প্রেম আর ভালোবাসার বিশাল সমুদ্র। কবিতায় তিনি মাটি মানুষের সোঁদা গন্ধের যাদুকরী পরশ নিবিড় ভালোবাসায় উচ্চকিত করেন। বাংলার স্নিগ্ধ সহজ অবিস্মরণীয়, দৃষ্টিনন্দন, প্রাণবন্ত গ্রামীণ প্রকৃতির প্রাণময়তা তার কবিতার কেন্দ্রীয় আকর্ষণ। দেশকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করেন। তার নিখুঁত প্রতিচ্ছবি শৈল্পিক বিন্যাসে তুলে ধরার কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করেন। এক নিভৃতচারী কবি বসন্তদূত নতুন ধারায় তার কলমকে বেগবান করতে তৎপর। যেখানে তিনি আর কবিতা মিলে একাকার। তার কবিতা সংকলনের প্রতিটি চরণে যেন আলোর কুয়াশা ছড়িয়ে যায়।