ফ্ল্যাপ নিয়ে বিকল্প পাথে তৎকালীন তেজগাও আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে চলে আসেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশী হেলিকপ্টার চালক স্কোঃ লীঃ সুলতান মাহমুদের সাক্ষাৎ পান। মুক্তিযুদ্ধে তার বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসাব তাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। ২০০৬ সনে বাংলাদেশ সরকার ‘৭১ এর রণক্ষেত্রে অসাধারণ নেতৃত্বের মূল্যায়নে ঢাকা শহরের অভিজাত বনানী আবাসিক এলাকার ২৩ নম্বর সড়কটি তার নামে নাম করণ করে তাকে সন্যুনিত করা হয়। জনযুদ্ধে সাম্পৃক্ততার স্মৃতি তাকে জনতার সাথে কাজ করার তাগিদের প্রভাবে তিনি ১৯৭৮ সালে বিমানবাহিনী থেকে স্বেচ্ছা-অবসর নিয়ে রাজনীতিতে সাক্রিয় হন। তিনি ১৯৭৯, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ২য়, ৫ম এবং ষষ্ঠ সংসদে ১৭৮ মুন্সিগঞ্জ ২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচার বিরোধী আনোদলনে তিনি মাঠে ময়দানে থাকেন। সংগ্রাম আন্দোলনে ওগ্রতভাবে সম্পৃক্ততার কারণে তিনি দুইবার কাবারুদ্ধ হন। ৮৬ তে জাফর ড্রাইভার এপিসোড তাঁর জীবনের অন্যথম স্মরণীয় ঘটন। সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে তিনি ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে জেনারেল এসেব্লর প্লেনারী সেশনে নামিবিয়া, প্যালেস্টাইন ইত্যাদি সমসার উপর ভাষণ দেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কনভেনার হিসাবে ঐ প্রতিষ্ঠানটিকে ক্রমাগত লোকসানী সংস্থা থেকে ল্যাভজনক প্রতিষ্ঠানরূপে পরিণত করেন। ঐ সংস্থাটির ব্যাপক উন্নয়নকল্পে তিনি বহুবিধ কার্যক্রম শুরু করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ট্রাস্টের ৪.৩৩ একর জমি ভূমিদস্যুদের দখলমুক্ত করে সেখানে দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধ, চতুর্পাশ্র্বের নিম্নবিত্ত জনসাধারণ এবং বিত্তহীনদের জন্য ‘রাজধানী সুপার মল’ প্রতিষ্ঠা করা।
পরবর্তিতে ঢাকার একটি বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় একে ‘গরিবের জন্য একমাত্র সুপার মল’ আখ্যা দেয়। সংসদ সদস্য থাকাকালীন তিনি ঢাকা বিশ্বাবদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, মন্ত্রীর সাথে আলোচনা ও চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তিনি প্রতিরক্ষা, স্বারাস্ট্র, অনুমিত হিসাব সংক্রান্ত সংসাদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং বিদ্যুত-জ্বালানী ও সড়ক শাসন- যানবাহন সংক্রান্ত সাব কমিটিসশূহের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আস্টেলিয়ার স্যার স্টিফেন নিনিয়ানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সরকার ও বিরোধী দলের সংলাপে বলিষ্ঠ বক্তব্য রেখে প্রশংসিত হন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও ইংরেজ আমল থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের উপর গবেষণা এবং একাধিক পুস্তক রচনা করেছেন। বর্তমানে তিনি বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধঅ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব ছাড়াও তাঁর নির্বাচনী এলাকা ১৮৮ ঢাকা-১৫ (কাফরুল থানা এবং মিরপুর থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড) এর এলাকাবাসীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক সংযোগ রক্ষা করে চলছেন।