ক্ষুধার্ত শকুনঃ চৌধুরী ভিলার চারপাশটা দশ ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। কেন? কাকে এত ভয় পান অ্যাডভোকেট রেজোয়ান চৌধুরী? প্রতি রাতে বাড়ির পেছনদিক থেকে আপাদমস্তক চাদর মুড়ি দেওয়া এক লোক মোমেনা চাচীর কাছে আসে। পিয়ালি ঠিক করে রেখেছে, লোকটা আজ এলে সিঁড়িতে লুকিয়ে থেকে দেখবে প্রতি রাতে লোকটা ওদের বাড়িতে কেন আসে। পিয়ালির শোবার ঘরে ওর গায়ের ওপর কালো একটা মুখ এসে ছুরি দুলিয়ে হুমকি দিয়ে যায়, সে যা দেখেছে তা যেন গোপন রাখে। কেন? কি দেখেছিল পিয়ালি? চৌধুরী পরিবারকে ঘিরে থাকা রহস্যের ধুম্রজাল ভেদ করতে ডাক পড়েছে গোয়েন্দা শাহরিয়ার হাসানের। পরিবারের একেকজন সদস্য যেন একেকটা রহস্যের আধার। শাহরিয়ার কি পারবে চৌধুরী পরিবারের রহস্যের এই ধুম্রজাল ভেদ করতে? আঁধারের স্বীকারোক্তিঃ সীমান্তবর্তী একটি গ্রামের নাম বিষাণপুর। কোনও এক রাতে এই গ্রামের ধনী স্বর্ণকার লিটু দাস আর তার স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হল। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে পুলিশ বাড়ির গৃহপরিচারিকা আর দোকানের কর্মচারী ছেলেটিকে আটক করল। কিন্তু খুনগুলো কি সত্যিই ওরা করেছে? এমন বীভৎসভাবে কোনও মানুষ মানুষকে হত্যা করতে পারে না। তাহলে সেই স্বর্ণকার আর তার স্ত্রীকে হত্যা করল কে? অশরীরী কেউ নয়ত? মিশকালো অন্ধকারে ছুটে চলা একটি প্রাইভেট কারে থাকা দু’জন যুবক যুবতী আশ্রয়ের সন্ধান করছে। এক বৃদ্ধ দম্পতির গৃহে আশ্রয় হল সেই যুবক যুবতীর। রাত যত গভীর হল, ততই পাল্টে যেতে শুরু করল তাদের আচরণ। কি ঘটেছিল সেই যুবক যুবতীর কপালে? উত্তর মিলবে ‘আঁধারের স্বীকারোক্তি’ উপন্যাসিকায়।