১৯৬১ সালের ১৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জে জন্ম। বাবা আনােয়ার হােসেন রতু, মা সৈয়দা ইসাবেলা। স্বামী খন্দকার মােজাম্মেল হক বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল আই.জি.পি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। পুত্র খন্দকার অমিতাভ ও কন্যা মৌটুসি খন্দকার। শৈশবের দুরন্ত সময়ে দেখেছেন রাজনৈতিক উত্তাল পটপরিবর্তন, দেখেছেন মুক্তিযুদ্ধ এবং নতুন মানচিত্র ও নতুন পতাকা। তখন থেকেই জন্ম নিয়েছে দেশের প্রতি, অকুতােভয় বীর সূর্যসন্তানদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ। স্বামীর কর্মসূত্রে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন। জনপথ । ভ্রমণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া, যুগােস্লাভিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাপান, তাইওয়ার, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই), তুরস্ক, চীন, হংকং, কম্বােডিয়া, নিউজিল্যান্ড, থাইল্যান্ড, লাওস, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারত। খুঁটিয়ে দেখেছেন সেসব স্থানের অধিবাসীর জীবনধারা, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি। এসব অভিজ্ঞতাসংবলিত বিভিন্ন গ্রন্থ প্রকাশের পর পাঠকের কাছে তা সমাদৃত হয়েছে, যেহেতু মিতালী হােসেন বর্ণনাভঙ্গিতে অত্যন্ত সাবলীল। প্রকাশিত গ্রন্থ ' নিউজিল্যান্ডে দশ দিন (ভ্রমণকাহিনী), খেমারুজদের দেশে। (ভ্রমণকাহিনী), দূর প্রবাসের যাত্রী (ভ্রমণকাহিনী), দিগন্তের তিন প্রান্তে (ভ্রমণকাহিনী), মরুতে পাহাড়ে সাগরে (ভ্রমণকাহিনী), একাত্তরে আমি (স্মৃতিচারণ), কালােদের সাথে শাদাদের দেশে (ভ্রমণকাহিনী), পুনাক থেকে বেইজিং+বিশ্ব নারী সম্মেলন ২০০০ (ভ্রমণকাহিনী), আমার দেখা নারী (গল্প), অদ্রি কন্যায় কয়েক দিন (ভ্রমণকাহিনী), পথে পথেই দেখা (ভ্রমণকাহিনী), ভুবনের দু’পারে (ভ্রমণকাহিনী), গল্পশেষে ঘুমের দেশে (শিশুসাহিত্য), নাবাহাে বীরের গল্প (শিশুসাহিত্য), তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে (ভ্রমণকাহিনী), পারুলের ঘর (গল্প), মেঘ-পাহাড়ের দেশ (ভ্রমণকাহিনী), মেঘের বাড়ি ঘােরাঘুরি (ভ্রমণকাহিনী), মায়ার খেলা (উপন্যাস), গল্পসংকলন (গল্প), আলাের দিন আলাের রাত (ভ্রমণকাহিনী), অলৌকিক আত্মীয় (উপন্যাস), মেঘের ওপর আকাশ ওড়ে (ভ্রমণকাহিনী), কাছে ও দূরে বেড়াই ঘুরে (ভ্রমণকাহিনী), যেও না একটু থাকো (কবিতা), শুধুই স্মৃতি নয় (স্মৃতিকথা), চীনের চিঠি। (ভ্রমণকাহিনী), ভেসে বেড়ানাের চার দিন (ভ্রমণকাহিনী), আলাে ও। ব্যবধান (উপন্যাস), গল্প-সংকলন (গল্প), নারী (সতীদাহ ও পর্দাপ্রথা) সম্পাদনা।