‘আওয়াজ’ অর্থ ধ্বনি, কিন্তু এই গ্রন্থে ‘আওয়াজ’ একরকম প্রতিবাদ হিসেবে এেেসছে। আমাদের চারপাশে আমরা প্রতিনিয়ত নানা রকম অন্যায় হতে দেখি কিন্তু সেভাবে কোন আওয়াজ বা প্রতিবাদ না করে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করি। এতে এই ছোট ছোট ভুলগুলিও একসময় অপরাধে পরিণত হয়। করোনাকালে অর্থাৎ ২০২০ সালে এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলি লেখা শুরু হয়। স্বাভাবিকভাবে সে সময়ের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, সমাজের অবস্থা এই প্রবন্ধে স্থান পেয়েছে। করোনায় স্বজন হারানোর বেদনা বর্ণনাতীত। মৃত্যুকে সহজভাবে মেনে নিতেই ‘চিরশান্তি’ প্রবন্ধটি লেখা হয়। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা, বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চায় বাংলাভাষার ব্যবহারের গুরুত্ব বাড়ানোর ভাবনা থেকেই বিজ্ঞান ও সাহিত্যের মেল বন্ধন ঘটানো হয়েছে। করোনা ও করোনা পরবর্তীকালে সমাজে, নৈতিকতা, মানবিকতা, সততা, দেশপ্রেম ও মূল্যবোধ, ইত্যাদি যোগ্যতার অভাব প্রকট হয় যা সমাজ ও দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। তাই একজন সুনাগরিক গড়ে তুলতে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠন জরুরি যা এই গ্রন্থে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় যারা বঞ্চিত, অবহেলিত, নিপীড়িত তাদের অধিকার আদায়ের জন্য নীরব না থেকে আওয়াজ তুলতে হবে। তাই আওয়াজ তুলতে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে নিজেকে সঠিকভাবে তৈরির মাধ্যমে।