নেতাজি থেকে বঙ্গবন্ধু, শতভাগ বাঙালি সত্তা নিয়ে কবির চিন্তা চেতনা। সেই চেতনার প্রতিফলন পরিস্ফুট তাঁর লেখায়। ভালোবাসেন গাছ, প্রকৃতি, নারী, অসাম্প্রদায়িতা, বাঙালিয়ানা, দেশাত্ববোধ। কবি হৃদয় সর্বদা সঞ্জীবিত দেশমাতৃকার কল্যাণব্রতে। সামাজিক ব্যাধি আর মূল্যবোধের অবক্ষয় নিয়ে কখনো কখনো রুখে দাঁড়ানোর রক্তরাঙা প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। আবার নিটোল ভালোবাসার অন্তরাগুলোও বেজে উঠে সমানতালে। তিনি লিখেন... হিম-হিম উষ্ণ-উষ্ণ লুকোচুরি বৌচি খেলার মতো ছুঁয়ে দিয়ে ছুট দয়িতার স্পর্শ অব্যক্ত-সুধা-সম্মোহন-জাগরণ, এই পরিশুদ্ধ জাগরণ সম্ভব হেমন্তেÍ কেবল। আবার পরক্ষণেই গর্জে উঠে অবক্ষয়ের বিরূদ্ধে প্রতিবাদের স্লোগান, যা কালিতে হয়ে উঠে... প্রেম নেই, মায়া নেই, মমতার লেশ দেখি না তো! ক্রুরতার আমরা কী নিয়েছি শপথ, বিবেক-বিধ্বংসী এই কু-খেলায় মাতো! চিত্রকরের মতো হৃদয়ের কথা, পরিশ্রান্ত মুখের চাহনি, প্রতিবাদের ভাষা, চমৎকারভাবে কবিতায় ডানা মেলে ..... নিজেকে নিয়েছি সামলে, অকারণ, সম্পূর্ণ তাকে আর খুঁজি না এখন; যতটুকু রেখে গেছে অগোচর অমোচন, সেটুকু আমার সে, তাকে নিয়ে সুখে আছি বেশ, শেষ অশ্রুজলে। কবিতাগুলো বর্ণিল অনুভবের নাটকীয়তায় আর স্নিগ্ধতায় পরিপুষ্ট। কবির প্রকাশিত ২৯টি বইয়ের এই নির্যাস, কবিতাসংগ্রহ ভালোলাগার সঞ্চয়। হৃদয় ছুঁয়ে যাবে, মুগ্ধতায় ভরে যাবে, পাঠকের মন।