”নষ্ট দর্শন” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা : ব্রিটিশ ভারতে শিক্ষা, চাকুরি ও ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বঞ্চিত ও ভাগ্যাহত মুসলমানদের ভাগ্যোন্নয়নের উদ্দেশ্যে ১৯০৫ সনে বাংলাদেশকে বিভক্ত করে মুসলমান প্রধান একটি পূর্ববাংলা করা হয়েছিল। এতে মুসলমানরা একটা আশার আলাে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। মুসলমানদের উল্লাস দেখে বিশিষ্ট হিন্দুরা আমার সােনার বাংলা আমি তােমায় ভালবাসি’ গান গেয়ে বঙ্গ ভঙ্গ রােধের জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তােলে। ইংরেজ সরকার বাধ্য হয়ে ১৯১১ সালে বঙ্গ ভঙ্গ রদ করে। তখন উল্লসিত হিন্দুরা আশাহত মুসলমানদের বিদ্রুপ করে বহু ব্যঙ্গ কাব্য রচনা করেছিল। যেমনঃ কি অইল গাে নানী লাট বাহাদুর আশা দিছিল কইরা মেহেরবাণী দারােগাগিরী চাকরী দিব বিলাতি মেম সাদী দিব এহন দেহি হায় নসিবের সানকি ধােয়া পানি। বিশ্বে বিদ্যা চর্চার সূচনা হয়েছিল ধর্ম চর্চার প্রয়ােজনে, শিক্ষার প্রসার হয়েছিল ধর্মতত্ত্ব ভিত্তি করে। আজও বাল্যশিক্ষার ছবক শুরু হয় ধর্মকথা দিয়ে এবং, দর্শন চর্চা হয় ধর্মতত্ত্ব দিয়ে। অথচ দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশের কিছু মানুষ উচ্চ শিক্ষা শেষে দর্শনপন্ডিত হয়েই ধর্মদ্রোহী হয়ে যায়। এরা যেন অমৃত পান করে বিষ উদগারণ করে। প্রাচীন কবি দন্ডিদাস এদের ডালে মূলে উপড়িয়ে সাগরে ভাসাতে বলেছেনঃ অন্তরে অসাড় বাঁশি বাহিরে সরল পিবয়ে অধর সূধা উগারে গরল যে ঝাড়ের তরল বাঁশি তারে যদি পাও ডালে মূলে উপড়িয়া সাগরে ভাসাও।