প্রসঙ্গ কথা ধর্ম একটি চিরন্তর সত্য সুন্দর ও নির্মল বিশ্বাস। কিন্তু এই ধর্মীয় বোধ বিশ্বাসকে সঠিকভাবে কেবল স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের জন্য কতটুকু মানি কিংবা মানার চেষ্টা করি। বেশির ভাগ সময়িই দেখা যায় ধর্মকে ব্যবহার করছি ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর পার্থিব স্বার্থে। আবার কেউ কেউ জেনে হোক কিংবা না জেনে হোক ধর্ম পালন করতে গিয়ে ধর্মের মাঝেই জন্ম দিচ্ছে অধর্ম। নিজে অধিক ধর্ম পালন করতে গিয়ে পরিবারের আর সবাইকে রেখে যাচ্ছি অরক্ষিত ধর্মের মাঝে। পরিবার প্রধানের দীর্ঘ অনুপস্থিতির মাঝে কোনো সদস্য যে অনাচার করল কিংবা করতে বাধ্য হলো তার দায়ভার কার উপর গিয়ে বর্তাবে? কেননা এখানে জুলেখা-আমেনারা কল্পিত কেউ নয়। অথবা অনেকেই এমন পরিস্থিতির শিকার। ঞয়তো আমরা সেটা দেখেও দেখি না। অথবা দেখার চেষ্টাও করি না। তাছাড়া এই শতাব্দীর শুরু থেকেই দেশে ধর্মের আশ্রমে জঙ্গিবাদীরা যে অধর্মের বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে সেটার পরিণতিই বা শেষ পর্যন্ত কেথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
আর অধর্মের নামে যে রাজনীতি চলছে, সেটা আসলে মহান ধর্ম প্রতিষ্ঠার পবিত্র লক্ষ্য নাকি জনসেবার সস্তা সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতির সহজ ব্যবসায় সফলতা অর্জন? যদি তাদের ধর্ম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য থেকে থাকে তাহলে ওইসব রাজনীতিবিদদের অবশ্যই বিধর্মী কোনো রাষ্ট্রে গিয়ে মহান ইসলামের বাণী প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব নেয়াই ভাল। ইসলামের শুরুতেই যেমনটি করেছিলেন অলি-আউলিয়ারা । যার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় ইতিহাসে। এ প্রসঙ্গে এই বইতে জঙ্গিবাদের যেসব তথ্য-উপাত্ত ও স্থান-কালের উল্লেখ করেছি তা দেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে নিতে হয়েছে। (যদিও কখনো কখনো আমি নিজেও সরেজমিনের ওইসব স্থানে গিয়েছি।) তাই পত্রিকাসমূহের সম্পাদক প্রকাশক ও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকবৃন্দের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।